Covishield: এখনই বুস্টার ডোজ়ে ‘না’ সেরাম কর্তার, মাসে ২০ কোটি টিকা উৎপাদনের ঘোষণা সংস্থার
Covishield Production Increase: কোভিশিল্ডের উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে সেরাম কর্তা বলেন, "বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করে যেহেতু করোনা টিকাটি বানানো হচ্ছে, তাই আমদানি হওয়া কাঁচামালের উপরই মাসিক ২০ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন নির্ভর করছে।"
নয়া দিল্লি : দেশে দ্রুতগতিতে চলছে টিকাকরণ (COVID Vaccination)। ইতিমধ্যেই শুক্রবার আড়াই কোটি ভ্যাকসিন দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে ভারত। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের সকল প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে টিকার বাজার ধরে রাখতে উৎপাদন বাড়ানে সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া। শুক্রবারই সেরাম সংস্থার সিইও আদার পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla) জানান, অক্টোবর মাস থেকেই সেরাম সংস্থা (Serum Institute of India) প্রতি মাসে ১৬ কোটির বদলে ২০ কোটি টিকা উৎপাদন করবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, উৎপাদন বৃদ্ধির কাজে সাহায্যের জন্য একটি নতুন কারখানাও তৈরি করা হচ্ছে।
সেরাম কর্তা আদার পুনাওয়ালা জানান, এমআরঅএনএ ভিত্তিক টিকা (mRNA vaccines) তৈরির জন্য়ই ওই কারখানাটি তৈরি করা হচ্ছে। সেরাম ইন্সটিটিউট লাইফ সায়েন্স (SILS) এবং বায়োকন বায়েলজিক্স লিমিটেড-এই দুই সংস্থা সম্প্রতিই চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যেই নতুন কারখানা তৈরি হয়ে যাবে এবং তারপর দুই সংস্থাই ওই কারখানা ব্যবহার করতে পারবে।
শুক্রবারই বায়োকন বায়েলজিক্স লিমিটেডের এক্সেকিউটিভ চেয়ারপার্সন কিরণ মজুমদার সাউয়ের সঙ্গে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে সেরাম কর্তা আদার পুনাওয়ালা তাদের চুক্তির কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, আগামী ১৫ বছরের জন্য বিবিএল সংস্থা প্রতি বছর ১০ কোটি ভ্যাকসিন পাবে এবং সেরাম ইন্সটিটিউট লাইফ সায়েন্সের কর্মাশিয়ালাইজেশন স্বত্বও থাকবে তাদের কাছে। এর বদলে সেরাম সংস্থা প্রতিবছর প্রায় ১৫ শতাংশ লাভের অংশ পাবে।
কোভিশিল্ডের উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে সেরাম কর্তা বলেন, “বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করে যেহেতু করোনা টিকাটি বানানো হচ্ছে, তাই আমদানি হওয়া কাঁচামালের উপরই মাসিক ২০ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন নির্ভর করছে। চলতি বছরের শুরুতে কাঁচামাল আমদানি নিয়ে কিছুটা সমস্যা থাকলেও মার্চ মাস থেকেই পরিস্থিতি উন্নত হতে শুরু করেছে।”
বিবিএলের এক্সেকিউটিভ চেয়ারপার্সন কিরণ মজুমদার সাউ বলেন, “আমরা চাই না আমদানি কোনওভাবে প্রভাবিত হোক, কারণ এর সরাসরি প্রভাব টিকা উৎপাদনে পড়ে। তাই বাইরের কারোর উপর নির্ভর না করে, আমরা দেশের ভিতরই কাঁচামাল উৎপাদনের পরিকল্পনা করছি। যে সমস্ত পণ্য ও কাঁচামালগুলি দুটি সংস্থার উৎপাদন কাজেই ব্যবহৃত হয়, তা দেশের অভ্যন্তরেই উৎপাদনের পরিকল্পনা চলছে।”
কয়েক মাস আগেও দেশে টিকার ঘাটতি থাকায় বিদেশে টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্র। এখনও সেই নিষেধাজ্ঞা ওঠেনি। এদিকে, বাংলাদেশ সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সেরাম সংস্থার টিকা রফতানির চুক্তি হলেও তা রফতানি করা যায়নি। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে আদার পুনাওয়ালা জানান, তিনি আশাবাদী আগামী দুই মাসের মধ্যেই টিকার রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “দেশে বর্তমানে একাধিক টিকা উপলব্ধ রয়েছে। আমাদের সংস্থা ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা টিকা সরবরাহ করছে। ধীরে ধীরে আমরা সেই পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছি, যেখানে আমাদের কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টিকা মজুদ থাকবে। এই পরিস্থিতিতে রফতানিতে ধীরে ধীরে অনুমতি দেওয়া হবে, এই আশাই করছি। তবে কেন্দ্রীয় সরকার যদি তৃতীয় বা চতুর্থ ঢেউয়ের কথা চিন্তা করে অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, তবে আমরা সেই সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেব।”
বুস্টার ডোজ় প্রসঙ্গে তিনি জানান, আগে সমস্ত দেশবাসীকে করোনা টিকার দুটি ডোজ় দেওয়ার উপরই জোর দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: COVID Vaccination: প্রতি সেকেন্ডে ৮০০ টিকা! চিনকে হারিয়ে কীভাবে টিকাকরণে বিশ্বরেকর্ড গড়ল ভারত?