Opposition meet: সিমলা নয়, বিরোধীদের পরবর্তী বৈঠক দক্ষিণের এই শহরে; পিছিয়ে গেল তারিখও
Next Opposition meet: পটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভবনে প্রথম বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন ১৭টি দলের নেতারা। সেই বৈঠকের পর বিরোধী নেতারা জানিয়েছিলেন, পরবর্তী বৈঠকটি হবে হিমাচল প্রদেশের সিমলায়, ১০ থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে কোনও একটি তারিখে। তবে, স্থান-কাল সবই বদলে গেল সেই বৈঠকের।
পুনে: সিমলা নয়, বিরোধীদের পরবর্তী বৈঠকটি হবে বেঙ্গালুরুতে। বৃহস্পতিবার (২৯ জুন), পুনের বারামতীতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দিলেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার। তিনি আরও জানিয়েছেন, বৈঠকটি হবে ১৩ অথবা ১৪ জুলাই। দ্বিতীয় বৈঠকটির সভাপতিত্ব করবেন কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়্গে। এই বৈঠকে বিরোধীদের একটি সাধারণ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হতে পারে। এর আগে, পটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বাসভবনে প্রথম বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন ১৭টি দলের নেতারা। সেই বৈঠকের পর বিরোধী নেতারা জানিয়েছিলেন, পরবর্তী বৈঠকটি হবে হিমাচল প্রদেশের সিমলায়, ১০ থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে কোনও একটি তারিখে। প্রসঙ্গত, হিমাচল প্রদেশ এবং কর্নাটক – দুই রাজ্যেই এখন ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস।
পটনার বৈঠকে, কংগ্রেস-সহ মোট ১৭টি বিরোধী দলের ৩২ জনেরও বেশি নেতা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে, সব মতভেদকে দূরে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। শরদ পওয়ার এদিন জানিয়েছেন, পটনার বৈঠকে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, এই বিষয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। বরং, আলোচনা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, সাম্প্রদায়িক হিংসার মতো বিষয় নিয়ে। শরদ পওয়ার বলেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু কিছু জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসাকে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে তো। ক্ষমতাসীন দল, অর্থাৎ, বিজেপি কীভাবে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে চাইছে, এই বিষয়ে কথা হয়েছে।”
পটনায় বিরোধীদের বৈঠকের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। এই সম্ভাব্য জোটকে এটিকে ‘বহুমুখী স্বার্থপর জোট’ বলেছে গেরুয়া শিবির। খোদ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে একজোট হয়েছেন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা। এই প্রেক্ষিতের বিজেপির সমালোচনা করে শরদ পওয়ার বলেছেন, “বিজেপি যদি নিজেদের স্বার্থে তাদের বন্ধু দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে পারে, কাহলে বিরোধীরা কেন তা করতে পারবে না?” বিজেপির ‘রাজনৈতিক পরিণতিবোধের অভাব’ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন এনসিপি প্রধান। তিনি আরও দাবি করেছেন, পটনার বৈঠকের পরই নাকি অস্থির হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা তাঁর কথাবার্তায় ধরা পড়ছে।