Shashi Tharoor : কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে থাকছেন শশী থারুর? জল্পনার মাঝেই মুখ খুললেন কেরলের সাংসদ

Shashi Tharoor : জল্পনা শুরু হয়েছিল যে, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বর্ষীয়ান সাংসদ শশী থারুর। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন তিনি নিজেই।

Shashi Tharoor : কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে থাকছেন শশী থারুর? জল্পনার মাঝেই মুখ খুললেন কেরলের সাংসদ
ছবি সৌজন্যে : ANI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2022 | 11:39 PM

তিরুবনন্তপুরম : রবিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সভাপতি নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়েছে। এবার সভাপতি পদে কারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে জল্পনা। মল্লিকার্জুন খড়গে সহ কংগ্রেসের একাধিক নেতা রাহুল গান্ধীকেই সভাপতি পদে দেখতে চান। আবার অশোক গেহলটের নামও উঠে এসেছিল মাঝে। এই আবহে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শশী থারুরের কংগ্রেসের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভবনা উঁকি দিয়েছে। মালায়ালাম দৈনিক ‘মাতৃভূমি’ তে তাঁর লেখা প্রতিবেদন ঘিরেই এই জল্পনা উঁকি দিয়েছে। এবার এই জল্পনার মাঝেই মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এদিন জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না।

কংগ্রেসের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর? সাংবাদিকের এই প্রশ্নে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘আমার এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করার নেই। আমি নিবন্ধে যা লিখেছি তা আমি বিশ্বাস করি। কংগ্রেসের জন্য এই নির্বাচন ভাল হবে।’ তিনি স্পষ্ট করে দেন তিনি প্রতিবেদনে লেখা প্রতিটি শব্দ নিজের মতামত বলেই স্বীকার করে নেন। তবে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে নারাজ তিনি। এর থেকে কোন আভাস পাওয়া যাচ্ছে তা মনোনয়নের দিনই জানা যাবে। সোমবার একটি মালয়লম দৈনিকে তিনি লেখেন, ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কংগ্রেসের অন্দরে চলতে থাকা সমস্যার সমাধানের একটি উপায় বের হতে পারে।’

তিনি এই নিবন্ধে আরও লিখেছিলেন, ওয়ার্কিং কমিটির অন্যান্য পদের জন্য নির্বাচনের ঘোষণাও করা উচিত ছিল। এর ফলে কংগ্রেসের নেতাদেরই গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে বলে মতামত তাঁর। প্রতিবেদনে শশী থারুর লিখেছিলেন, ‘কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির অন্তত ১২ টি আসনে নির্বাচন করানো দরকার ছিল। সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি এবং প্রদেশ কংগ্রেস কমিটিতে প্রতিনিধিদের নির্বাচন এই নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করত। দলকে নেতৃত্ব দিতে সহায়তা করত।’ তিনি আরও লেখেন, ‘তবে নতুন সভাপতি নির্বাচনের ফলে কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন সম্ভব হবে। কংগ্রেসের জন্য যা বহুদিন ধরে দরকার ছিল।’ শশী থারুরের এই প্রতিবেদন থেকেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে তিনি সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে সনিয়া গান্ধীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কংগ্রেসের ২৩ জন বিক্ষুব্ধ নেতা। সেই ২৩ জনের মধ্যে থারুর ছিলেন অন্যতম। এদিকে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন একাধিক নেতা। গুলাম নবি আজ়াদের মতো কংগ্রেসের এক বর্ষীয়ান নেতা দল থেকে বেরিয়ে এসে নিজের দল গড়ার কথা জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করা আশু প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে সভাপতি পদে কে বসবনে তা জানা যাবে ১৯ সেপ্টেম্বর।