Shiv Sena Rebel MLAs: নিজেরাই শুরু করেছিলেন বিদ্রোহ, উদ্ধবের ইস্তফায় মনমরা বিক্ষুব্ধ বিধায়করাই!

Maharashtra Political Crisis: বিক্ষুব্ধ শিবসেনা নেতা জানান, উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁদের কোনও সমস্য়া ছিল না। এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটেরই বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরা।

Shiv Sena Rebel MLAs: নিজেরাই শুরু করেছিলেন বিদ্রোহ, উদ্ধবের ইস্তফায় মনমরা বিক্ষুব্ধ বিধায়করাই!
গোয়ার পথে বিদ্রোহী বিধায়করা। ছবি: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2022 | 12:23 PM

মুম্বই: আগাড়ি জোট (Maha Vikas Aghadi) নিয়ে যে ক্ষোভের সূচনা হয়েছিল, তা ধীরে ধীরে বদলে গিয়েছিল শিবসেনা (Shiv Sena) কার, তার লড়াইয়ে। মহারাষ্ট্রের অন্দরেও ঢুকে পড়েছিল রিসর্ট রাজনীতি। রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বেই প্রথমে গুজরাটের সুরাটে ও পরে অসমের গুয়াহাটিতে ঘাঁটি গেড়েছিলেন বিক্ষুব্ধ বিধায়করা। শিন্ডে শিবির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছেই দাবি করে আস্থাভোটের (Trust Vote)। আজ, বৃহস্পতিবারই মহারাষ্ট্রের বিধানসভায় আস্থাভোট হওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই নয়া মোড় নিয়েছে শিবসেনার টানাপোড়েন। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। ছে়ড়়েছেন বিধান পরিষদের সদস্যপদও। এরপরে আর আস্থাভোট হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর, শুক্রবারই নতুন সরকার শপথ গ্রহণ করতে পারে। তবে উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় কি বিক্ষুব্ধ শিবির খুশি? অধিকাংশেরই উত্তর এল ‘না’। বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধার জেদ ধরলেও, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিক উদ্ধব ঠাকরে, এমনটা তারা কেউই চাননি।

বুধবার রাতেই ফেসবুক লাইভে এসে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর এই ঘোষণার পরই শিন্ডে শিবিরের অনেকের চোখে-মুখেই উচ্ছ্বাস ধরা পড়ে। মিষ্টিমুখও করানো হয় পদ্মশিবিরে। তবে উদ্ধবের মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছাড়ায় অধিকাংশ বিক্ষুব্ধ বিধায়কই অখুশি, এমনটাই সূত্রের খবর। দীপক কেশরকর এনডিটিভি-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “উদ্ধব ঠাকরের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা আমাদের জন্য মোটেও খুশির খবর নয়। আমরা যে সব সমস্যা ও অভিযোগ তুলে ধরেছিলাম, তাতে গুরুত্ব দেননি উদ্ধব, তবে আমরা সকলেই দুঃখিত যে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে লড়তে গিয়ে আমরা নিজেদের নেতার উপরও রাগ করে ফেললাম।”

সদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে যে বিদ্রোহ শুরু করেছিল বিক্ষুব্ধ বিধায়করা, তার জেরেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। একদিকে একনাথ শিন্ডে যেমন জানিয়েছিলেন,বালা সাহেব ঠাকরের দেখানো হিন্দুত্ববাদের মন্ত্র অনুসরণ করে চলতে যান, সেখানেই বিক্ষুব্ধ বিধায়করা প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছিলেন যে, এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট থেকে বেরিয়ে আসুক শিবসেনা। তার বদলে সমমনোভাবাপন্ন বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধুক শিবসেনা। তবে এই প্রস্তাবে গররাজি ছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বার্তায় তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এর আগে বিজেপির সঙ্গে জোট বাঁধার মাশুল চোকাতে হয়েছিল শিবসেনাকে। ফের কীভাবে তাদেরই বিশ্বাস করা সম্ভব?

বিক্ষুব্ধ শিবসেনা নেতা জানান, উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তাঁদের কোনও সমস্য়া ছিল না। এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটেরই বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরা। দলের অন্দরে বিভেদ বাড়ার জন্য দলের মুখপাত্র তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকেও দোষারোপ করেন। এই প্রসঙ্গে দীপক কেশরকর বলেন, “অনেক সাংসদও রয়েছেন, যারা কংগ্রেস ও এনসিপির জন্য দলের উপরে রাগ করে রয়েছেন। এনসিপির রাজ্য সভাপতি আমাদের এলাকায় গিয়ে নিজেদের দলের কর্মীদের নাম ঘোষণা করেন। আমাদের জন্য এই সমস্ত মানুষ ক্ষমতায় এসেছে… প্রত্যেকদিন সঞ্জয় রাউত যখন কেন্দ্রকে গালমন্দ করেছে, তখন সাধারণ মানুষ দুঃখই পেয়েছেন। আমরা প্রার্থনা করেছিলাম যে কোনও দলের যেন এমন মুখপাত্র না থাকে।”

মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় বর্তমানে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে আস্থাভোট। সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সমর্থন নিয়েই মহারাষ্ট্রে নতুন সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি প্রধান দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন একনাথ শিন্ডে।