Sikkim Disaster: পড়শি রাজ্যে বিপর্যয়ের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীরা, সিকিমেও সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী
Siliguri Traders Looses: বছরের ৮ মাসই শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত মার্কেট থেকে সিকিমে ফল, সবজি সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন গড়ে ৫০ টন সবজি শিলিগুড়িতে রফতানি হয়। কিন্তু, গত বুধবার থেকে একটি ট্রাকও সিকিমে ঢোকেনি। আবার বাঁধাকপি, মূলো, স্কোয়াশের মতো সবজিও সিকিম থেকে আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
শিলিগুড়ি: ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিধ্বস্ত সিকিম (Sikkim)। তারপর ৫ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এবার এই বিধ্বস্ত পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে সবজি বাজারে। এমনকি সিকিম ছাড়িয়ে শিলিগুড়ির (Siliguri) ব্যবসায়ীদের উপরেও ভয়াবহ বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে। পুজোর মুখে চরম লোকসানের মুখে শিলিগুড়ির সবজি ব্যবসায়ীরা (Siliguri Traders)।
পর্যটন থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্য, ফল-সবজি ব্যবসা- সবকিছুতেই সিকিমের সঙ্গে শিলিগুড়ির ওতপ্রোত যোগ রয়েছে। ফলে সিকিমে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব যেমন সিকিমের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে সবজি বাজারে পড়েছে, তেমনই লোকসানের মুখে শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীরা। বিশেষত, দুর্গাপুজোর মুখে ফল, সবজির ব্যবসা ৬০ শতাংশ পড়ে গিয়েছে বলে শিলিগুড়ির ফল ও সবজি ব্যবসায়ীদের অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে।
শিলিগুড়ির নিয়ন্ত্রিত বাজারের ফল ও সবজি কমিশন এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি শিব কুমার বলেন, :সিকিমের ট্রাজেডি শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীদের উপরেও আঘাত হেনেছে। বছরের ৮ মাসই শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত মার্কেট থেকে সিকিমে ফল, সবজি সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন গড়ে ৫০ টন সবজি শিলিগুড়িতে রফতানি হয়। কিন্তু, গত বুধবার থেকে একটি ট্রাকও সিকিমে ঢোকেনি। আবার বাঁধাকপি, মূলো, স্কোয়াশের মতো সবজিও সিকিম থেকে আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।”
আবার শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারের ফল ব্যবসায়ী বাবুল পল চৌধুরী বলেন, “প্রতিদিন সিকিমে ৪ লাখ থেকে ৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি হত, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ২ টন মাছ সরবরাহ হত। সেটাও বন্ধ।” শিলিগুড়ির গাল্লা মাল মান্ডি নয়া বাজার ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি করণ সিং জৈন জানান, এখানকার ব্যবসার ৪০ শতাংশ সিকিমের উপর নির্ভরশীল। গত কয়েকদিন ধরে দৈনিক ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত লোকসান হয়েছে।
সমতল থেকে সিকিমে সবজি, ফল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যেমন শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনই সিকিমে সবজির দাম অতিরিক্ত হয়েছে। যদিও স্থানীয়দের কিছুটা স্বস্তি দিতে গ্যাংটক পুর নিগম লাল বাজার এলাকার কাঞ্চনজঙ্ঘা শপিং কমপ্লেক্সের নিয়ন্ত্রিত বাজারে সবজির দাম নির্দিষ্ট করে বেঁধে দিয়েছে। আলু, পেঁয়াজ, টম্যাটো-সহ অতি প্রয়োজনীয় সবজির দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্যাংটকের মেয়র নেল বাহাদুর ছেত্রী। প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি করে কালোবাজারি না করার ব্যাপারেও ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু, সমতল থেকে সবজি না আসায় চাহিদার তুলনায় জোগান কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন অল সিকিম ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় শেরপা। সবমিলিয়ে, সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের জেরে সিকিম-সহ শিলিগুড়ির ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন, তেমনই বিপাকে খাদ্যসামগ্রী পেতে বিপাকে পড়েছেন সিকিমের সাধারণ মানুষ।