Smriti Irani: বড় জয় স্মৃতির! ‘গোয়া বার মামলা’য় আদালতের তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, বিপাকে কং নেতারা

সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট জানালো গোয়ায় অবস্থিত 'সিলি সোলস ক্যাফে অ্যান্ড বার' নামের রেস্তোরাঁটির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বা তাঁর মেয়ে নামে কখনও কোনও লাইসেন্স জারি করা হয়নি।

Smriti Irani: বড় জয় স্মৃতির! 'গোয়া বার মামলা'য় আদালতের তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ, বিপাকে কং নেতারা
আদালতে স্মৃতির বড় জয়, কী করবেন এখন তিন কংগ্রেস নেতা
Follow Us:
| Updated on: Aug 01, 2022 | 7:30 PM

নয়া দিল্লি: বড় জয় পেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট জানালো গোয়ায় অবস্থিত ‘সিলি সোলস ক্যাফে অ্যান্ড বার’ নামের রেস্তোরাঁটির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বা তাঁর মেয়ে নামে কখনও কোনও লাইসেন্স জারি করা হয়নি। বিচারপতি মিনি পুষ্কর্ণ, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, পবন খেরা এবং নেট্টা ডি’সুজাকে সমন জারি করার সময় এই পর্যবেক্ষণ করেছেন। কংগ্রেসের এই তিন নেতার বিরুদ্ধে ওই রেস্তোরাঁর বিষয়ে তাঁর ও তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ করার জন্য স্মৃতি ইরানি ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। সেই বিষয়েই তিন কং নেতাকে এদিন সমন পাঠিয়েছে আদালত।

গত সপ্তাহেই এই মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট তিন কংগ্রেস নেতাকেই তাঁদের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে স্মৃতি ইরানি এবং তাঁর মেয়ের ‘মানহানিকর’ সমস্ত পোস্ট মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। সাংবাদিক সম্মেলনের সময় ওই তিন কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেছিলেন গোয়ায় ‘সিলি সোলস ক্যাফে অ্যান্ড বার’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় অবৈধভাবে বার লাইসেন্স নেওয়া হয়েছে। এক মৃত ব্যক্তির নামে ওই লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে এবং সেটির মালিক আসলে স্মৃতি ইরানির মেয়ে জোয়েশ ইরানি। সেই সব অভিযোগকারী টুইট সরিয়ে দিতে বলেছিল আদালত।

সোমবার প্রকাশিত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে, “রেকর্ডে থাকা নথিগুলি বিবেচনা করে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে বাদী (স্মৃতি ইরানি) বা তাঁর মেয়ের পক্ষে কখনও কোনও লাইসেন্স ইস্যু করা হয়নি। বাদী বা তাঁর মেয়ে যে রেস্তোরাঁটির মালিক নন, তাও বাদীপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছে। দেখা যাচ্ছে যে, বাদী বা তাঁর মেয়ে কখনই লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেননি। রেস্তোরাঁটির জমির মালিকও তাঁরা নন। এমনকি, গোয়া সরকার যে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করেছে তাতেও বাদী বা তাঁর মেয়ের নাম নেই। এই সমস্ত তথ্য হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছে।”

সমস্ত নথি বিচার করে আদালত জানিয়েছে, এই ক্ষেত্রে এক ব্যক্তির সর্বোচ্চ সম্মানহানি করা হয়েছে। ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদের ২১ অনুসারে কারোর সম্মান তাঁর জীবনের অধিকারের সমান। তাই কোনও ব্যক্তির সুনাম রক্ষা করা অপরিহার্য। বাদী “সমাজের একজন সম্মানিত সদস্য এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সম্মানিত সদস্য” বলেও উল্লেখ করেছে আদালত। আদালতের মতে, স্মৃতি ইরানি প্রাথমিকভাবে মামলা করেছেন এবং আপাতত সুবিধার ভারসাম্য তাঁরই পক্ষে রয়েছে।

তবে, কংগ্রেস নেতারা এখনই লড়াই ছাড়ছেন না। এর আগে, আদালতের সমন পেয়ে জয়রাম রমেশ জানিয়েছিলেন, স্মৃতি ইরানি বিষয়টি অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। তাঁরা, সেটা হতে দেবেন না। আদালতে হাজির হয়ে সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেবেন। আগামী ১৮ অগস্ট তাঁদের দিল্লি জয়রাম রমেশ, পবন খেরা এবং নেট্টা ডি’সুজাকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে।