‘ওরা মা-কে মেরে ফেলল’, ৪ ঘণ্টা অপেক্ষার পর অটোতেই মৃত্যু মহিলার, অঝোরে কাঁদলেন ছেলেরা

যে অটোতে করে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল কোভিড হাসপাতালে এসেছিলেন, সেই অটোতেই মারা গেলেন বছর ৫২-র কিরণ ব্যাস।

'ওরা মা-কে মেরে ফেলল', ৪ ঘণ্টা অপেক্ষার পর অটোতেই মৃত্যু মহিলার, অঝোরে কাঁদলেন ছেলেরা
ছবি- টুইটার
Follow Us:
| Updated on: Apr 27, 2021 | 9:38 PM

নয়া দিল্লি: একের পর এক হৃদয় বিদারক ছবি উঠে আসছে কোভিড বিপর্যস্ত রাজধানী থেকে। চিকিৎসা পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে, কার্যত বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হচ্ছে একের পর এক রোগীর। মঙ্গলবার ঠিক এভাবেই চোখের সামনে নিজের মা-কে প্রাণ হারাতে দেখলেন দিল্লির বছর ২৮-এর যুবক মুকুল ব্যাস। হাসপাতালের বাইরে ফুটপাথে বসে ঘণ্টার পর মায়ের চিকিৎসার জন্য আর্তি জানিয়েও কোনও লাভ হল না। যে অটোতে করে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেল কোভিড হাসপাতালে এসেছিলেন, সেই অটোতেই মারা গেলেন বছর ৫২-র কিরণ ব্যাস।

মঙ্গলবার সকাল ১০ টা নাগাদই অসুস্থ কিরণদেবীকে নিয়ে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ দ্বারা পরিচালিত এই কোভিড হাসপাতালের দরজায় এসে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুকুল। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই। কিন্তু, কাগজপত্রে সই-সাবুদ এবং ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে করতেই সব শেষ। প্রাণ হারান মুকুলের মা। কান্নায় ভেঙে পড়েন দুই ছেলে।

ফুটপাথে বলে চোখের জল ফেলতে ফেলতে মুকুল বলেন, “ওরা আমার মা-কে মেরে ফেলল। মা-কে কোথায় নিয়ে যাব এখন আমি? এখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে গেলাম। বারবার আমায় বলা হল ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে। চিৎকার করে সাহায্যের আবেদন জানালেও কেউ এগিয়ে আসেনি। আমার মা চলে গেল। একজন মারা যাচ্ছে, তখন কীভাবে ১০০ টা ফর্মালিটি পুরো করব আমি?”

আরও পড়ুন: ক্যামেরার সামনে লাঠিপেটা চিকিৎসকদের, রোগী মৃত্যুর পর চলল কিল-ঘুষি-লাথি

মুকুলের আরও দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, ভর্তি করার জন্য জেলা পর্যবেক্ষক আধিকারিকের সুপারিশ লাগবে। সেটাও জোগাড় করে উঠতে পারেননি এই যুবক। তাই চোখের সামনেই কাতরাতে কাতরাতে মায়ের মৃত্যুর দেখতে হল তাঁকে। মুকুলের মতোই আরও একাধিক রোগীর পরিবারকেও একই অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে হয়েছে দিল্লিতে।

আরও পড়ুন: ‘মানুষ মরছে আর আমরা বিলাসবহুল হোটেল চাইব?’ পাঁচতারা হোটেলের নির্দেশিকায় তীব্র ভর্ৎসনা হাইকোর্টের