ধারে পানমশলা দিতে অস্বীকার, রাগে দোকানির ছেলেকে গুলি করে খুন
২০ টাকার পানমশলা ধার চেয়েছিলেন এক ক্রেতা। দোকানি তা দিতে অস্বীকার করায় বচসা বাধে দুজনের মধ্যে। পরেরদিন ফের দোকানে ফিরে আসেন ক্রেতা। ঝগড়া শুরু করেন দোকানির ছেলের সঙ্গে। আচমকাই পকেট থেকে বন্দুক বের করে গুলি চালায় অভিযুক্ত।
পটনা: পকেটে পয়সা না থাকায় এক ক্রেতা ধারে ২০ টাকার পানমশলা দিতে বলেছিলেন, কিন্তু দোকানদার তা দিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু এর পরিণতি যে এতটা নির্মম হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। পরেরদিনই ওই ব্যক্তি ফিরে আসে, দোকানে তাঁকে না পেয়ে ঘটনাস্থানে উপস্থিত তাঁর ছেলেকেই খুন করে সে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের ত্রিবেণীগঞ্জে। বিষয়টি জানাজানির পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় রবিবারে। অজিত কুমার নামক এক ব্যক্তি একটি মুদি দোকানে এসে ২০ টাকার পানমশলা নেন। তাঁর কাছে টাকা না থাকায় ধারে ওই পানমশলা দিতে বললে অস্বীকার করে দোকানদার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ ঝগড়া করার পর ঘটনাস্থান ছেড়ে চলে যান অজিত।
আরও পড়ুন: পুলিশের গাড়ি ছিনতাই, ধরা পড়তেই পুলিশকে তলোয়ারের কোপ আন্দোলনকারীর, উত্তেজনা সিংঘু সীমান্তে
রবিবারই ঝগড়ায় ইতি হয়েছে বলে ভাবলেও পরদিন ফের দোকানে হাজির হন অজিত। সেইসময় দোকানে মালিক উপস্থিত ছিলেন না, দোকান সামলাচ্ছিলেন তাঁর ছোট ছেলে মিথিলেশ কুমার। তাঁর সঙ্গেই ফের একবার ধার দেওয়া নিয়ে ঝগড়া শুরু করে অজিত। বচসার মাঝেই তিনি আচমকা পকেট থেকে বন্দুক বের করে মিথিলেশের উপর গুলি চালায়। ঘটনাস্থানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
দোকানের কাছেই উপস্থিত ছিলেন তাঁর দাদা। গুলির আওয়াজে তিনি ছুটে দোকানের সামনে আসেন, কিন্তু ততক্ষণে বাইকে চেপে ঘটনাস্থান ছেড়ে পালান অভিযুক্ত। খুনের ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থানে পৌঁছন ত্রীবেণীগঞ্জ থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তেই অভিযুক্তকে শনাক্ত করা হয় ও তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।
মৃতের দাদা জানান, আমার ভাইকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। সেই সময় আমি দোকানের কাছেই থাকলেও ঘটনাস্থানে পৌঁছনোর আগেই খুনিরা পালিয়ে যায়। অন্যদিকে পুলিশের তরফেও জানানো হয়, অভিযুক্তকে চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে এবং আশেপাশের এলাকায় তাঁর খোঁজ চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পঞ্জাবে অভূতপূর্ব জয়, ভাতিণ্ডায় ইতিহাস তৈরি করল কংগ্রেস