Zeeshan Siddique: ১০ কেজি ওজন কমালে তবেই দেখা করা যাবে রাহুলের সঙ্গে! কংগ্রেসের আজব শর্ত ফাঁস করলেন বাবা সিদ্দিকির ছেলে
Congress: ৩১ বছর বয়সী ওই কংগ্রেস নেতা এখানেই অভিযোগ থামাননি। তিনি বলেন, "কংগ্রেসের সংখ্যালঘু কর্মী ও নেতাদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হয়, তা অত্য়ন্ত দুঃখজনক। মুম্বই যুব কংগ্রেসে যে ধরনের সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ করা হয়, তা আর কোথাও হয় না। কংগ্রেসে মুসলিম হওয়া কি পাপ?
মুম্বই: ৫০ বছরের সম্পর্ক ভেঙে কংগ্রেস ছেড়েছেন বাবা সিদ্দিকি। তাঁর ছেলে জ়িসান সিদ্দিকিকেও সম্প্রতি মুম্বইয়ের যুব শাখার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাবার কংগ্রেস ছাড়ার পরই এবার দলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন জ়িসান। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, দলের নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁকে অসম্ভব বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। দলের তরফে শর্ত রাখা হয়েছিল, ওজন কমালে তবেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করা যাবে।
বৃহস্পতিবার বাবা সিদ্দিকির ছেলে জ়িসান সিদ্দিকি দাবি করেন, কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা যখন মহারাষ্ট্রের নন্দেদে পৌঁছেছিল, সেই সময় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তিনি দেখা করতে চাইলে, রাহুলের ঘনিষ্ঠরা জানান, কমপক্ষে ১০ কেজি ওজন কমাতে হবে। তাহলেই রাহুল গান্ধীর পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ মিলবে।
৩১ বছর বয়সী ওই কংগ্রেস নেতা এখানেই অভিযোগ থামাননি। তাঁর আরও দাবি, কংগ্রেসের অন্দরে সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়। ভেদাভেদ, এমনকী সাম্প্রদায়িক বিভাজনের অভিযোগও তোলেন দলের বিরুদ্ধে। জ়িসান বলেন, “কংগ্রেসের সংখ্যালঘু কর্মী ও নেতাদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করা হয়, তা অত্য়ন্ত দুঃখজনক। মুম্বই যুব কংগ্রেসে যে ধরনের সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ করা হয়, তা আর কোথাও হয় না। কংগ্রেসে মুসলিম হওয়া কি পাপ? কংগ্রেসকে জবাব দিতে হবে, কেন আমায় এভাবে নিশানা করা হচ্ছে? শুধু আমি মুসলিম বলে?”
The only other person, I can think of, who makes such ridiculous demands from his party workers – that they should look nice and photogenic – is a dynast who rules North Korea. https://t.co/sAlcMoOwPQ
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) February 23, 2024
বুধবারই বাবা সিদ্দিকির ছেলেকে মুম্বই যুব কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। জ়িসানের দাবি, তাঁকে যে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়ে অবগতও করা হয়নি। ৯০ শতাংশ ভোট পেয়েই তিনি এই পদে বসেছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই বিনা কারণে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জ়িসানের আরও বড় দাবি, কংগ্রেসে মল্লিকার্জুন খাড়্গেও নিজে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তাঁর হাতও বাধা থাকে।
এদিকে, জিসানের এই দাবির পর প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “একজনই দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে এই ধরনের অদ্ভুত দাবি করতে পারেন যে তাদের ভাল দেখতে ও ফোটোজেনিক হতে হবে। এমন নিয়ম তো উত্তর কোরিয়ার প্রশাসকের রয়েছে।”