কোন রাজ্যে কী নিয়ম? বিমানযাত্রার আগে জেনে নিন কোভিড বিধির খুঁটিনাটি
এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেখে নেওয়া যাক কোন রাজ্যে গেলে কী নিয়ম পালন করতে হচ্ছে বিমানযাত্রীদের।
নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতী ঢেউ প্রায় চলে গিয়েছে। দৈনিক করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর নিম্নমুখী হার অন্তত সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। তবে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা যেন কেটেও কাটছে না। এই বুঝি তৃতীয় ঢেউ এসে পড়ে করোনার। তাই অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রতিটি রাজ্য। ভিনরাজ্য থেকে পা রাখতে গেলে পালন করতে হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন গাইডলাইন। মূলত আকাশপথে যাতাযাতের ক্ষেত্রেই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে একাধিক নিয়ম। কিন্তু কোনও রাজ্যে গেলে কী নিয়ম পালন করতে হবে, সেটা না জেনে গেলে অনেক সময়ই বিপদে পড়ছেন বিমানযাত্রীরা। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেখে নেওয়া যাক কোন রাজ্যে গেলে কী নিয়ম পালন করতে হচ্ছে বিমানযাত্রীদের।
আন্দামান ও নিকোবর: পা রাখার ৪৮ ঘণ্টা আগের আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট লাগবে। সঙ্গে নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলেও বিমানবন্দরেই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে হবে। স্বরাজ দ্বীপ বা শহিদ দ্বীপে যেতে হলে যথাক্রমে ৭ এবং ১০ দিন কোয়ারেন্টাইনে থেকে তারপর যাওয়া যাবে।
গোয়া: রাজ্যে প্রবেশের কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে আসা কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। যারা চিকিৎসার প্রয়োজনে যাবেন তাঁদের কেবল পর্যাপ্ত নথি দেখালেই হবে। ভ্রমণ বা ব্যবসার কাজে যদি কেউ আসছেন যিনি অন্তত ১৪ দিন আগে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছেন, তিনি আরামসে রাজ্যে ঢুকতে পারবেন।
অন্ধ্র প্রদেশ: রাজ্যে ভ্রমণের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের www.spandana.ap.gov.in ওয়েবসাইটে নাম ঠিকানা ও ব্যক্তিগত তথ্য নথিভুক্ত করাতে হবে। কেউ যদি কোভিড পজিটিভ হন এবং লক্ষণ না থাকে সে ক্ষেত্রে ১৪ দিনের নিভৃতবাস বাধ্যতামূলক।
অসম: বিমানবন্দরে নামার পরই র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হবে। ফলাফল যাই আসুক না কেন, পর্যটকদের জন্য ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক। তবে জরুরি বা বিশেষ ক্ষেত্রে কিছু শিথিলতা রয়েছে।
বিহার: কোনও রিপোর্ট নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। পটনা বিমানবন্দরে অবতরণের পরই কোভিড টেস্ট করা হবে। পজিটিভ এলে ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব। অন্যদিকে, মধ্য প্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কেরল, পঞ্জাব থেকে কেউ গয়া গেলে দুই ডোজ়ের টিকাকরণের শংসাপত্র বা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে যেতে হবে।
ছত্তীসগঢ়: ৯৬ ঘণ্টা আগের কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে যেতে হবে। বিমানবন্দরে নামার পর পুনরায় কোভিড পরীক্ষা করা হবে।
দিল্লি: আন্তঃদেশীয় যাত্রীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সরকারি চাকুরে হলে অবশ্য হোম কোয়ারেন্টাইন পর্ব থেকে ছাড় রয়েছে।
গুজরাট: গুজরাটে পৌঁছনর পরও কোনও কোভিড পরীক্ষার শংসাপত্র দেখানোর প্রয়োজন নেই। তবে সুরাট বিমানবন্দরে নামলে সুরাট পুরসভার একটি কোভিড ট্র্যাকার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে হবে।
উত্তরাখণ্ড: মহারাষ্ট্র, কেরল ও গুডরাট থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড টেস্ট করা হবে বিমানবন্দরেই। কোভিড রিপোর্ট সঙ্গে থাকলে কোয়ারেন্টাইন পর্ব নিষ্প্রয়োজন। করোনারা দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ১৪ দিন পর গেলে আর কোনও বাধাই থাকবে না।
রাজস্থান: কমপক্ষে ভ্যাকসিনের একটি ডোজ় নেওয়া থাকলে কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে না। ভ্যাকসিন না নেওয়া থাকলে ৭২ ঘণ্টা আগের টেস্ট রিপোর্ট দেখাতে হবে। পজিটিভ এলে ১৫ দিনের কোয়ারেন্টাইন।
তামিলনাড়ু: মহারাষ্ট্র এবং কেরলের কোনও যাত্রীর যদি উপসর্গ থাকে তবে বিমানবন্দরে কোভিড পরীক্ষা করা হবে। সবাইকে ৭২ ঘণ্টা আগের টেস্ট রিপোর্ট দেখাতে হবে।
মহারাষ্ট্র: এই রাজ্যের বিমানে ওঠার ক্ষেত্রে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক। নয়তো বিমানে চাপতেই দেওয়া হবে না।
কর্নাটক: মহারাষ্ট্র বা কেরলের যাত্রীদের ৭২ ঘণ্টা আগের নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। বাকিদের ক্ষেত্রে কেবল উপসর্গ থাকলে তবেই রিপোর্ট নিয়ে যেতে হবে।
কেরল: রাজ্যে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে ৭২ ঘণ্টা আগের টেস্ট রিপোর্ট দেখাতে হবে। উপসর্গহীন হলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
হিমাচল প্রদেশ: যাত্রার ৯৬ ঘণ্টা আগে করা কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে। যে সমস্ত শহরে করোনারা প্রকোপ বেশি সেখান থেকে এলে মোট দিনের কোয়ান্টাইনে থাকতে হবে।
জম্মু-কাশ্মীর: কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে। উপসর্গ থাকলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক।