Kota student suicide: ‘লাস্ট অপশন…’, জয়েন্টের দুদিন আগে কোটায় ‘পরীক্ষা-দানবে’র শিকার আরও এক
Kota student suicide: আত্মঘাতী ছাত্রীর বয়স ১৮ বছর। এদিন সকালে, তাঁকে তাঁর বাসভবনেই সিলিং থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর পরিবার দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, চিকিৎসকরা জানান, আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সুইসাইড নোটে আত্মঘাতী মেয়েটি লিখেছে, "মামি ও পাপা, আমি জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম দিতে পারব না। তাই, আমি আত্মহত্যার পথ..."
জয়পুর: ৩১ জানুয়ারি জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেইনের পরীক্ষা। আর তার ঠিক দুদিন আগে, সোমবার (২৯ জানুয়ারি), রাজস্থানের কোটা জেলায় আত্মঘাতী হলেন আরও এক শিক্ষার্থী। কোটার এক কোচিং সেন্টারে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। পরীক্ষার চাপ সহ্য করতে না পেরেই এই শিক্ষার্থী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। তদন্তের সময় পুলিশ একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছে। তাতে ওই ছাত্রী নিজেই পরীক্ষার চাপকেই তাঁর আত্মহত্যার কারণ বলে জানিয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং মেয়েটির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে। চলতি মাসে এই নিয়ে কোটায় দ্বিতীয় শিক্ষার্থী পরীক্ষার চাপ নিতে না পেরে আত্মহত্যা করলেন। এই নিয়ে দেশ জুড়ে শিক্ষামহলে আলোচনা চলছে। সরকারের পক্ষ থেকেও বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবু ছাত্রছাত্রীদের আত্মহত্যা বন্ধ হচ্ছে না।
কোটার বোরখেদা অঞ্চলে এই ঘটনা ঘটেছে। আত্মঘাতী ছাত্রীর বয়স ১৮ বছর। এদিন সকালে, তাঁকে তাঁর বাসভবনেই সিলিং থেকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর পরিবার দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, চিকিৎসকরা জানান, আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তার বাবা-মা জানিয়েছে, মেয়েটি জয়েন্ট মেইনসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সুইসাইড নোটে আত্মঘাতী মেয়েটি লিখেছে, “মামি ও পাপা, আমি জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সাম দিতে পারব না। তাই, আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছি। আমি একজহেরে যাওয়া মানুষ। আমার মৃত্যুর কারণ আমিই। আমি সবথেকে খারাপ মেয়ে। সরি, মামি-পাপা। আমার কাছে আর কোনও বিকল্প ছিল না।”
এর আগে, ২৩ জানুয়ারি, কোটায় আত্মহত্যা করেছিলেন আরও এক ছাত্র। সেখানকার এক বেসরকারি কোচিং সেন্টারে তিনি এনইইটি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আদতে তিনি উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। ১৭ বছরের ছাত্রটি কোটায় এক হোস্টেলে থাকতেন। তিনিও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। এই ক্ষেত্রে কোনও সুইসাইড নোট না পাওয়া গেলেও, তার ক্ষেত্রেও পরীক্ষার চাপকেই আত্মহত্যার কারণ বলে সন্দেহ করা হয়েছে।
আসলে, রাজস্থানের কোটা জেলা, ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল এবং সিভিল সার্ভিসের প্রবেশিকা পরীক্ষার কোচিং ইনস্টিটিউটগুলির জন্য সুপরিচিত। ভারতের বিভিন্ন স্থান থেকে এই জেলায় প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আসেন ছাত্রছাত্রীরা। পাল্লা দিয়ে গত কয়েক বছরে এই জেলায় বেড়েছে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার সংখ্যাও। ২০২৩ সালেই ২৯ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিলেন। কোচিং সেন্টারগুলির বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্যকে অবহেলা করার অভিযোগ রয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোচিং সেন্টারগুলির জন্য বিশেষ বিধি চালু করা হয়েছে। প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রী মোদীও পরীক্ষার চাপ সামলানোর বিষয়ে পরামর্শ দানের জন্য ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠান করেন। তবে, তারপরও এই ধরনের মর্মান্তিকর ঘটনা বন্ধ করা যাচ্ছে না।