Cow Smuggling Case: তৃতীয়বার ইডির হাজিরা এড়ালেন কেষ্টকন্যা, বাবার ‘পাপ’ মেয়েকে বইতে হবে না তো? প্রশ্ন বিরোধীদের

Anubrata-Sukanta: গরু পাচার মামলায় কেষ্ট মণ্ডলের মেয়ে সুকন্য়া মণ্ডলকে সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অতীতেও দুইবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু প্রত্যেকবারই কোনও না কোনও কারণে হাজিরা এড়াচ্ছেন তিনি।

Cow Smuggling Case: তৃতীয়বার ইডির হাজিরা এড়ালেন কেষ্টকন্যা, বাবার 'পাপ' মেয়েকে বইতে হবে না তো? প্রশ্ন বিরোধীদের
সুকন্য়া মণ্ডল ও অনুব্রত মণ্ডল (গ্রাফিক্স - অভীক দেবনাথ)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 13, 2023 | 12:01 PM

নয়া দিল্লি: ইডির হাজিরা আবারও এড়ালেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। জানা যাচ্ছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়েছেন অনুব্রত কন্যা। আর এই নিয়ে পর পর তিনবার ইডির (Enforcement Directorate) হাজিরা এড়ালেন সুকন্যা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট? সূত্রের খবর, সব আইনি দিক খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা। প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলার (Cow Smuglling Case) তদন্তে অনেকদিন আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সিবিআই ও ইডি উভয় কেন্দ্রীয় সংস্থাই তদন্ত চালাচ্ছে গরু পাচার মামলায়। শুধু কেষ্ট মণ্ডলই নন, তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং তাঁর হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারিও গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় কেষ্ট মণ্ডলের মেয়ে সুকন্য়া মণ্ডলকে সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অতীতেও দুইবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু প্রত্যেকবারই কোনও না কোনও কারণে হাজিরা এড়াচ্ছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, শারীরিক অসুস্থার কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। অতীতে দেখা গিয়েছে, এমন ক্ষেত্রে শারীরিক অবস্থার বিষয়ে একটি মেডিক্যাল রিপোর্ট চেয়ে থাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। এক্ষেত্রেও তেমন কোনও পদক্ষেপ করা হয় কি না, সেই দিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

এদিকে সুকন্যার হাজিরা এড়ানো নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলছেন, ‘আমার মনে হয় ভয় পাচ্ছে। কারণ, বাবার পাপ মেয়েকে বইতে হবে তা বুঝতে পারছে। সমস্যা হল, আইন আইনের মতো করে চলে। আমি জানতাম না, এটা আইনি ভাষার স্বীকৃত নয়।’

শুভেন্দু অধিকারীও বলছেন, ‘আইন আইনের পথে চলবে। হাজিরা এড়ালে তদন্তকারী সংস্থা যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবে। আমার মনে হয়, বাবার সঙ্গে একসঙ্গে থাকতে চায়, তাই এসব করছে।’

আইনজীবী মহলের একাংশের মতে, যদি কাউকে সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয়, সেক্ষেত্রে তিন থেকে চার বার সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে হাজিরা দেওয়ার। কিন্তু তারপরও যদি হাজিরা না দেন কেউ, সেক্ষেত্রে তিনি কী কারণ দেখাচ্ছেন হাজিরা না দিতে পারার, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। যদি সেই কারণ উপযুক্ত না মনে করেন তদন্তকারী অফিসাররা, সেক্ষেত্রে তাঁরা আদালতকে বিষয়টি জানাতে পারেন এবং প্রয়োজনে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন জানাতে পারেন। এখন দেখার সুকন্যা তৃতীয়বার হাজিরা এড়ানোর পর কী পদক্ষেপ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।