রাখি পরিয়ে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্তের জামিনের রায় খারিজ সুপ্রিমকোর্টে
২০২০ সালে মধ্য প্রদেশের উজ্জয়নের বাসিন্দা এক মহিলা তাঁর প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা(Sexual Assault)-র অভিযোগ আনেন। এর প্রেক্ষিতেই অভিযুক্ত বিক্রম বাগরি ইন্দোরে জামিন(Bail)-র আবেদন জানান। নির্যাতিতার হাতে রাখি পরার শর্তে জামিন দিয়েছিল আদালত।
নয়া দিল্লি: যৌন হেনস্থা (Sexual Assault) মামলায় অভিযুক্তকে একটাই শর্তে জামিন দিতে রাজি হয়েছিল মধ্য প্রদেশ হাইকোর্ট (Madhya Pradesh High Court)। বলা হয়েছিল, তিনি যদি নির্যাতিতার হাতে রাখি পরেন, তবেই জামিন দেওয়া হবে। হাইকোর্টের এই অদ্ভুত রায়কে খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালত নির্যাতিতার দাবিকে মান্যতা দিয়েই জানিয়ে বলে, “অভিযোগকারীণীকে যে মানসিক নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তাকে তাচ্ছিল্য করেছে আদালত”।
২০২০ সালে মধ্য প্রদেশের উজ্জয়নের বাসিন্দা এক মহিলা তাঁর প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। এর প্রেক্ষিতেই অভিযুক্ত বিক্রম বাগরি ইন্দোরে জামিনের আবেদন জানান। গত ৩০ জুলাই মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চ তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়। আদালতের শর্ত ছিল, রাখিবন্ধনের দিন অভিযুক্তকে নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে রাখি পরতে হবে।
“ভাই” হিসাবে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ১১ হাজার টাকা ও নির্যাতিতার ছেলেকে মিষ্টি খাওয়া ও জমাকাপড় কেনার জন্য ৫ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। প্রমাণ স্বরূপ রাখি পরার ছবিও জমা দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।
আরও পড়ুন: ‘বিষফোঁড়া’ বিদেশী স্ট্রেন, ২ সপ্তাহেই ১৫৮ জন আক্রান্ত, মোট সংখ্যা ছুঁল ৪০০
মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান নয়জন মহিলা আইনজীবী। তিনি বলেন, “এই রায়ে মহিলাদের একভাবে অপমান করা হয়েছে।” এরপরই ১৬ অক্টোবর শীর্ষ আদালত জামিনের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করে এবং অভিযুক্তের মুক্তি বাতিল করে দেয়।
নয়জন মহিলা আইনজীবীর পিটিশনের ভিত্তিতে আজ শীর্ষ আদালত জানায়, এই ধরনের মামলায় প্রথাগত চিন্তাধারা এড়িয়ে যাওয়াই উচিত। একইসঙ্গে আইনজীবী ও বিচারপতিদের আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত।
শুনানি চলাকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল হাইকোর্টের আইনজীবীকে এই রায়দান নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি জানান, এইধরনের রায় দিতে বিচারপতি স্রেফ নাটক করেছেন।