‘কালো কোর্ট পরা মানেই জীবন মূল্যবান নয়’, ক্ষতিপূরণের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court : কেউ কালো কোট পরে ঘুরে বেরানো মানেই তাঁর জীবন বেশি মূল্যবান, এমনটা নয়। অনেকে মারা গিয়েছেন। আপনারা শুধু ব্যতিক্রম নন। মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের।

'কালো কোর্ট পরা মানেই জীবন মূল্যবান নয়', ক্ষতিপূরণের আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের
নির্মামকাজে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 14, 2021 | 2:00 PM

নয়াদিল্লি : করোনায় মৃত আইনজীবীদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতে আবেদন করা হয়েঠছিল ৬০ বছরের কম বয়সি যে আইনজীবীরা করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া জন্য। মোট ৫০ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের তত্ত্বাবধানে এক বেঞ্চে জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র আইনজীবীদের জন্য কোনও ব্যতিক্রম হতে পারে না। আবেদনকারী আইনজীবী প্রদীপ কুমার যাদবকে ১০ হাজার টাকা আদালতে জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন।

শীর্ষ আদালতের নির্দেশে, “বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, এই আবেদন খারিজ করা হচ্ছে এবং আবেদনকারীকে আজ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে ১০ হাজার টাকা জমা করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।”

ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ জানিয়েছে,”কেউ কালো কোট পরে ঘুরে বেরানো মানেই তাঁর জীবন বেশি মূল্যবান, এমনটা নয়। অনেকে মারা গিয়েছেন। আপনারা শুধু ব্যতিক্রম নন।” তাই শুধুমাত্র আদালতের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য কোনও ব্যতিক্রম করা সম্ভব নয়।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ দেশে আছড়ে পড়ার পর সবথেকে খারাপ পরিস্থিতির সাক্ষী থেকেছিল দেশ। অক্সিজেনের অভাব আরও প্রকট হয়েছিল। চারিদিকে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছিল। অক্সিজেন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেজরিওয়ালের কাতর আর্জি, কান্নায় ভেঙে পড়া, কোনও হাসপাতালে এক ঘণ্টা, তো আবার কোনও হাসপাতালে দুই ঘণ্টার অক্সিজেন বাকি, সেই ছবি আজও আবছা হয়ে যায়নি। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাদ যাননি আইনজীবীরাও।

উল্লেখ্য নতুন সরকার গঠনের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় রাজ্যের করোনায় মৃত আইনজীবীদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। অ্যাডভোকেট ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে এই টাকা মৃত আইনজীবীদের পরিবারকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বলা হয়েছিল, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই মৃতের পরিবারকে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী করোনায় মারা গিয়েছেন, সেই সার্টিফিকেটটি আবেদনপত্রের সঙ্গে যুক্ত করে পাঠাতে হবে। সংশ্লিষ্ট আইনজীবী কোনও অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, সেই সব কিছুই দেখা হবে না। তিনি এই রাজ্যে ওকালতি প্র্যাকটিস করতেন কিনা শুধু সেটিই দেখা হবে।

উল্লেখ্য সম্প্রতি বার অ্যাসোসিয়েশনের এক অনুষ্ঠানে আইনজীবীদের সমস্যার কথা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনের কাছেও আবেদন করা হয়েছিল।  বলা হয়েছিল, করোনা কালে আইনজীবীরা যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তা যেন বিবেচনা করে দেখা হয়।

আরও পড়ুন : অকারণে বারবার স্বামী-স্ত্রীর মামলায় ডিভোর্স হওয়া সম্ভব, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

আরও পড়ুন : ‘বোনটা মরে যাবে কিছু করুন স্যর…’, অফিসারের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েও হল না শেষ রক্ষা