Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে ইতিহাস! সাংকেতিক ভাষায় যুক্তি দিলেন মূক ও বধীর আইনজীবী
Deaf and mute lawyer in Supreme Court: প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বারবার বিচার ব্যবস্থাকে যথা সম্ভব অন্তর্ভূক্তিমূলক করে তোলার উপর জোর দিয়েছেন। সমাজের সকল স্তরের মানুষ যাতে বিচার ব্যবস্থার সুবিধা নিকতে পারেন, তা নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে এদিন ইতিহাস তৈরি হল শীর্ষ আদালতে।
নয়া দিল্লি: ১৯৫০ সালের ২৮ জানুয়ারি পথ চল শুরু করেছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তারপর থেকে সাত দশক কেটে গিয়েছে। এই সাত দশকে যা ঘটেনি, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর), তারই সাক্ষী থাকল শীর্ষ আদালত। ইতিহাসে প্রথমবার এদিন, এক দোভাষীর মাধ্যমে এক মূক ও বধির আইনজীবীর সাংকেতিক ভাষায় দেওয়া যুক্তি শুনল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির দায়ত্ব নেওয়ার পর থেকেই ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বারবার বিচার ব্যবস্থাকে যথা সম্ভব অন্তর্ভূক্তিমূলক করে তোলার উপর জোর দিয়েছেন। সমাজের সকল স্তরের মানুষ যাতে বিচার ব্যবস্থার সুবিধা নিকতে পারেন, তা নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে এদিন ইতিহাস তৈরি হল শীর্ষ আদালতে।
এদিন, এক মামলার ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশ নেন মূক ও বধীর আইনজীবী সারা সানি। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের এজলাশে, সাংকেতিক ভাষায় তাঁর যুক্তি উপস্থাপন করেন তিনি। তবে, সুপ্রিম কোর্টের যে কন্ট্রোল রুম থেকে ভার্চুয়াল শুনানি প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হয়, তারা প্রথমে সারা সানিকে ভার্চুয়াল শুনানির স্ক্রিনে জায়গা দেয়নি। তাঁর বদলে স্ক্রিনে জায়গা দেওয়া হয়েছিল তাঁর দোভাষী সৌরভ রায়চৌধুরীকে। সারা সানির সাংকেতিক ভাষা পড়ে, প্রধান বিচারপতির সামনে যুক্তিগুলি তুলে ধরছিলেন যুক্তি দোভাষী। তবে এরপর, প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় দোভাষীর সঙ্গে সারা সানিকেও স্ক্রিনে দেখানোর নির্দেশ দেন কন্ট্রোল রুমকে। এরপর দুজনেই স্ক্রিনে থেকে সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের যুক্তি উপস্থাপন করেন।
সুপ্রিম কোর্টের নিবন্ধিত আইনজীবী সঞ্চিতা অ্যানের উদ্যোগেই সারা সানি এই শুনানিতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। সারা সানি, তাঁরই জুনিয়র। এই বিষয়ে সঞ্চিতা জানিয়েছেন, ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তোলার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তটি অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সমাজের সকল অংশের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে যে চ্যালেঞ্জগুলি রয়েছে, সেগুলির মোকাবিলায় এদিনের ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে, আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, রবিবারই, শিশু সুরক্ষা সম্পর্কিত দুই দিনের এক জাতীয় অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র এবং অনুষ্ঠানের বিবরণ ব্রেইলে জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দৃষ্টিহীনরাও যাতে তা পড়তে পারেন, তার জন্যই প্রথমবার এই পদক্ষেপ করেছে শীর্ষ আদালত। এর আগে গত বছর, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের আদালতে আসার ক্ষেত্রে কী কী চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়, তা বোঝার জন্য একটি কমিটি গঠন করেছিলেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।