‘নোটা’য় বেশি ভোট পড়লে নতুন করে নির্বাচন? কেন্দ্র ও কমিশনকে নোটিস শীর্ষ আদালতের

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মোট সাড়ে ৬ লক্ষ ভোট পড়েছিল নোটায় (NOTA), যা মোট ভোটের ১.০৬ শতাংশ।

'নোটা'য় বেশি ভোট পড়লে নতুন করে নির্বাচন? কেন্দ্র ও কমিশনকে নোটিস শীর্ষ আদালতের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Mar 15, 2021 | 6:39 PM

নয়া দিল্লি: যদি ভোটারের কোনও প্রার্থীকেই পছন্দ না হয়, সেকথা মাথায় রেখেই নোটা নামে একটি বিকল্প এনেছিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। অনেক ক্ষেত্রে প্রার্থীদের তুলনায় এই অপশনে বেশি ভোট পড়ে। সে ক্ষেত্রে যাতে ওই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন প্রক্রিয়া করা হয়, এমনই আবেদন গেল শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)। আবেদনের ভিত্তিতে কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনার জন্য নোটিশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

সোমবার প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি ভি রামা সুব্রহ্মণ্যর বেঞ্চে এই জনস্বার্থ মামলা ওঠে। জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন বিজেপি নেতা অশ্বিনী উপাধ্যায়। তাঁর দাবি, নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক যাতে নোটায় বেশি ভোট পড়লে সেই ভোট বাতিল করা হয়।

এ দিন শুনানির পর কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশনকে চার সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়ে বিবেচনা করে উত্তর দিতে নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিক ভাবে এই মামলাটি শুনতে চাননি বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, যদি এরকম অনেকগুলি আসনে হয় তাহলে সে সব কেন্দ্রে ভোট বাতিল হয়ে গেলে তো সংসদই গঠিত হবে না। এরকম হলে সেই আসনে কোনও প্রতিনিধি থাকবে না। সংসদ চালালো মুস্কিল হবে।

অশ্বিনী উপাধ্যায়ের আইনজীবী মানেকা গুরুস্বামী এ দিন আদালতে বলেন, সুপ্রিম কোর্টও সুপারিশ করেছে যে নোটা বা নন অফ দ্য অ্যাবভ বিকল্পে সর্বোচ্চ ভোট পড়লে নতুন করে ভোট করা উচিত। তিনি বলেন ভোট বাতিল না হলে নোটার কোনও মানে থাকছে না। তিনি বলেন, যদি প্রত্যাখানের অধিকার থাকে তাহলে দলগুলি প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্ক হবে। জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছে যে নোটা সর্বোচ্চ ভোট পেলে যেন নতুন করে ভোট হয়। আগের ভোটে যারা প্রার্থী ছিল, তারা যেন আর দাঁড়াতে না পারে।

বছর কয়েক আগে নোটা নামে এই বিকল্প আসে। কিন্তু এই নোটা সর্বোচ্চ ভোট পেলেও নির্বাচন বাতিলের কোনও ব্যবস্থা নেই। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মোট সাড়ে ৬ লক্ষ ভোট পড়েছিল নোটাতে, যা মোট ভোটের ১.০৬ শতাংশ।