Supreme Court On R G Kar: ‘আমরা বুঝতে অক্ষম, কেন ব্যর্থ রাজ্য?’, আরজি কর ভাঙচুরের ঘটনায় কড়া ভর্ৎসনার মুখে মমতার প্রশাসন

Supreme Court On R G Kar: পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, "মাঝ রাতে ৭ হাজার লোকের জমায়েত হয়ে গেল, পুলিশ জানতে পারল না? পুলিশ কি হাসপাতাল ভাঙচুর করার অনুমতি দিচ্ছিল?” সুপ্রিম কোর্টের কড়া পর্যবেক্ষণ, হাসপাতালে ভাঙচুর চালাতে দেওয়া হয়েছে।

Supreme Court On R G Kar: 'আমরা বুঝতে অক্ষম, কেন ব্যর্থ রাজ্য?', আরজি কর ভাঙচুরের ঘটনায় কড়া ভর্ৎসনার মুখে মমতার প্রশাসন
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 20, 2024 | 2:04 PM

নয়া দিল্লি:  আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে চরম ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য পুলিশ। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের  প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি হয়। এদিনের শুনানির প্রথম থেকেই সুপ্রিম কোর্টের কড়া কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য।  প্রশ্ন ওঠে আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে। তবে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরুতেই উষ্মাপ্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা তো বটেই, সামগ্রিক ঘটনায় প্রধান বিচারপতি বলেন, “প্রথমে ঠিক ভাবে এফআইআর করা হয়নি। পুলিশ কী করছিল? একটা হাসপাতালের মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ তখন কী করছিল?”

আরজি করে ১৪ অগাস্ট রাতে যে ভাঙচুর-তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে, তাতেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “মাঝ রাতে ৭ হাজার লোকের জমায়েত হয়ে গেল, পুলিশ জানতে পারল না? পুলিশ কি হাসপাতাল ভাঙচুর করার অনুমতি দিচ্ছিল?” সুপ্রিম কোর্টের কড়া পর্যবেক্ষণ, হাসপাতালে ভাঙচুর চালাতে দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমরা খুবই চিন্তিত। প্রতিবাদকারীদের বাধা দিতে নিজের শক্তি প্রয়োগ করে রাজ্য। ৯ অগস্ট চিকিৎসক ধর্ষিত ও খুন হন। সেই ঘটনার ছবি ও ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১৩ অগস্ট এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। ১৪ তারিখ রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে হাসপাতালে তাণ্ডব চলল। পুরো বিষয়টি আমরা মনের মধ্যে কল্পনা করছি। কী কী হচ্ছে সেখানে? আমরা কিছুতেই বুঝতে পারছি না স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজ্য কেন পুলিশের দ্বারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারল না? আমরা এটা বুঝতে অক্ষম।”  প্রশাসনের চূড়ান্ত ব্যর্থতায় উষ্মাপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “চিকিৎসা পেশায় হিংসা রুখতে হবে। অনেকের মনের মধ্যে গেঁথে রয়েছে, এই সমাজ পুরুষশাসিত। সেখানে মহিলারা আরও বেশি করে নিশানা হচ্ছেন। এটা দুঃখজনক।” প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “আমাদের গোটা দেশে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। জুনিয়র থেকে সিনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন এই দাবিতে। তাঁদের নিরাপত্তা ন্যাশনাল কনসার্ন। শেষে সুপ্রিম কোর্ট আরজি করের নিরাপত্তায় CISF মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)