SC on Electoral Bond: আগামিকালই প্রকাশ করতে হবে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য, SBI-কে ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ
State Bank of India: এ দিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশে বলা হয়, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে শুধুমাত্র দুটি বিষয়ের তথ্য প্রকাশ করতে হবে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে। প্রথম, নির্বাচনী বন্ডের ক্রেতা কে এবং ক্রয় করা বন্ডের সংখ্যা কত। দ্বিতীয়, কোন রাজনৈতিক দল কত বন্ড পেয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি কোন বন্ড কার কাছ থেকে পেয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে না।
নয়া দিল্লি: নির্বাচনী বন্ড নিয়ে আরও কঠোর অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের জন্য স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (State Bank of India) অতিরিক্ত সময়ের আর্জি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। আগামিকাল, ১২ মার্চের মধ্যেই নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ করতে বলা হল এসবিআই-কে। সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে এই তথ্য জমা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে আগামী ১৫ মার্চ, বিকেল ৫টার মধ্যে তাদের ওয়েবসাইটে এই তথ্য আপলোড করতে হবে।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দেশে বলা হয়, নির্বাচনী বন্ড নিয়ে শুধুমাত্র দুটি বিষয়ের তথ্য প্রকাশ করতে হবে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে। প্রথম, নির্বাচনী বন্ডের ক্রেতা কে এবং ক্রয় করা বন্ডের সংখ্যা কত। দ্বিতীয়, কোন রাজনৈতিক দল কত বন্ড পেয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি কোন বন্ড কার কাছ থেকে পেয়েছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে না।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট ঐতিহাসিক রায়ে নির্বাচনী বন্ডকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়াকে গত ৬ মার্চের মধ্য়ে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ, ১৩ মার্চের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে এই তথ্য প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে তথ্য প্রকাশ করতে পারেনি এসবিআই। তথ্য প্রকাশের জন্য ৩০ জুন অবধি সময় চেয়েছিল এসবিআই, কিন্তু এ দিন সেই আর্জি খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। আগামিকাল, ১২ মার্চের মধ্যেই নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশ করতে হবে।
এ দিন মামলার শুনানি শুরু হতেই সুপ্রিম কোর্ট এসবিআই-কে ধমক দিয়ে প্রশ্ন করে, গত ২৬ দিন ধরে ব্যাঙ্ক কী করছিল? এসবিআই-র তরফে হাজির আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, “ব্যাঙ্ক নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করেছে। আমাদের আরও কিছু সময় লাগবে যাবতীয় তথ্যকে প্রকাশ করতে। গোটা প্রক্রিয়াকে উল্টো দিক থেকে করতে হচ্ছে। ব্যাঙ্ক হিসাবে আমাদের বলা হয়েছিল, গোটা প্রক্রিয়াটিই (নির্বাচনী বন্ড) সিক্রেট থাকবে।”
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন যে অনুদানদাতাদের তথ্য সিলড কভারে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার মুম্বই ব্রাঞ্চে জমা রাখা আছে, এমনটাই জানানো হয়েছে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাও সঙ্গে সঙ্গে বলেন,”আপনাদের শুধুমাত্র সিল খুলতে হবে, তথ্য সংগ্রহ করতে হবে এবং তা জমা দিতে হবে।”
এর জবাবে আইনজীবী হরিশ সালভে বলেন, “কে বন্ড কিনেছেন, কোথা থেকে তার টাকা এসেছে, কোন রাজনৈতিক দলের কাছে কত টাকা জমা পড়েছে, যাবতীয় তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। কে কে বন্ড কিনেছেন, সেই তথ্য়ও জমা দিয়েছি। শুধুমাত্র এই নামগুলি বন্ড নম্বরের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে। এটা সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। আমরা আপনাদের এই নম্বর মেলাতে বলছি না, সেই কারণে আমরা অতিরিক্ত সময় চাইছি। এই কাজ করতে তিনমাস সময় লাগবে। আমরা কোনও ভুল করতে পারি না, তাহলে অনুদানদাতারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে।”