TMC-Congress: তৃণমূলের মনোনয়ন প্রত্যাহারের মধ্যে বড় ‘অঘটন’ ঘটতে পারে? খাড়্গের ইঙ্গিতে জল্পনা

TMC Candidate List: রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস ৪২টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে। এরপরই কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম বলেন, "আমি জানিনা তৃণমূল কংগ্রেসের উপরে কীসের চাপ ছিল। আমরা তো পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালীই করতে চাই। দেখা যাক কী হয়..."।

TMC-Congress: তৃণমূলের মনোনয়ন প্রত্যাহারের মধ্যে বড় 'অঘটন' ঘটতে পারে? খাড়্গের ইঙ্গিতে জল্পনা
তৃণমূলের প্রার্থীদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর র‌্যাম্প ওয়াক।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Mar 11, 2024 | 11:53 AM

নয়া দিল্লি: ইন্ডিয়া জোটকে পাত্তা না দিয়েই পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। জনগর্জন সভা থেকে তৃণমূলের এই প্রার্থী ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই মনক্ষুণ্ণ কংগ্রেস। অধীর রঞ্জন চৌধুরী কড়া সমালোচনা করলেও, বাকি শীর্ষ নেতৃত্বরা কিন্তু সুর নরমই রেখেছেন। এমনকী, জোটের আশা বা আসন ভাগাভাগির সম্ভাবনা রয়েছে, তাও বললেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে।

রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস ৪২টি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে। এরপরই কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়রাম বলেন, “আমি জানিনা তৃণমূল কংগ্রেসের উপরে কীসের চাপ ছিল। আমরা তো পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালীই করতে চাই। দেখা যাক কী হয়…”।

এক্স হ্যান্ডেলেও তিনি পোস্ট করে বলেন, “জাতীয় কংগ্রেস বারংবার পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির চুক্তি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। একপক্ষের হঠাৎ ঘোষণা নয়, আলোচনার মাধ্য়মে আসন ভাগাভাগি করার চেষ্টা করে গিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস বরাবর চেয়েছে যে ইন্ডিয়া জোট বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে লড়ুক।”

অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করলেও, কড়া ভাষায় কোনও সমালোচনা করেননি। তিনি বলেন, “বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করাই শ্রেয়। তবে যে কোনও সময়েই জোট হতে পারে। যতক্ষণ অবধি মনোনয়ন তুলে না নেওয়া হয়, ততক্ষণ অবধি জোটের সম্ভাবনা রয়েছে।”

তবে তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পরই আবার আক্রমণাত্বক রূপ নেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয় যে উনি যদি ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে থাকেন, তবে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে লড়তে হবে, আর তারপরই উনি (প্রধানমন্ত্রী মোদী) বারবার ইডি-সিবিআই পাঠাবেন। এতে বিপদের মুখে পড়বে তৃণমূল। প্রধানমন্ত্রী যাতে অখুশি না হন, সেই কারণেই মমতা এই জোট থেকে নিজেকে আলাদা করে নেওয়া শ্রেয় বলে মনে করেছে।”