‘সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা উচিত বিচারপতিদের’, তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court: বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, "বিচারপতিদের সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা উচিত। ঘোড়ার মতো কাজ করা এবং কাঁকড়ার মতো জীবনযাপন করা উচিত।"

'সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা উচিত বিচারপতিদের', তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল চিত্র।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Dec 13, 2024 | 11:03 AM

নয়া দিল্লি:  সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত বিচারপতিদের। অনলাইনে কোনও রায় নিয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়। এমনটাই পর্যবেক্ষণ রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারব্যবস্থায় দেখনদারির কোনও জায়গা নেই বলেই জানায় শীর্ষ আদালত।

দুই বিচারবিভাগীয় আধিকারিককে বরখাস্তের মামলায় এই পর্যবেক্ষণ রাখে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিভি নাগারত্ন ও বিচারপতি এন কোটেশ্বর সিংয়ের বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “বিচারপতিদের সোশ্য়াল মিডিয়া থেকে দূরে থাকা উচিত। ঘোড়ার মতো কাজ করা এবং কাঁকড়ার মতো জীবনযাপন করা উচিত।”

বিচারব্যবস্থায় কোনও দেখনদারির জায়গা নেই, এই পর্যবেক্ষণ রেখে শীর্ষ আদালত বলে, “বিচারবিভাগীয় আধিকারিকদের ফেসবুক করা উচিত নয়। কোনও রায় নিয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়, কারণ যদি আগামিকাল সেই রায় তুলে ধরা হয়, তবে বিচারপতি আগেই পক্ষে বা বিপক্ষে মতামত রেখেছেন।”

মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের দুই মহিলা আধিকারিককে বরখাস্তের মামলায় শীর্ষ আদালত বিচারপতিদের নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে জীবনযাপনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিই তুলে ধরা হয়।  জানা গিয়েছে,  প্রোবেশন পিরিয়ডে থাকাকালীন অসন্তোষজনক পারফরম্যান্সের জন্য ওই দুই বিচারককে বরখাস্ত করা হয় হাইকোর্ট থেকে। মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের তরফে চলতি বছরের শুরুতে ৬জন বিচারপতিকে দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এদের মধ্যে চারজনকে পুনরায় নিয়োগ করা হলেও, দুই বিচারপতিকে নন-পারফরম্যান্সের জন্য বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্ত দুই বিচারপতির মধ্যেই একজন বিচারপতি দাবি করেন, ২০২১ সালে তাঁর গর্ভপাত হয় এবং ভাইয়ের ক্যানসার ধরা পড়ে। আদালত তাঁর পারফরম্যান্স বিচারে এই বিষয়গুলি পর্যালোচনা করেনি, যা সংবিধানের ১৪ ও ২১ অনুচ্ছেদের অধীনে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে। এই নিয়ে তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন। এর প্রেক্ষিতেই এই পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের।