Supreme Court: ১৬ বছরে যৌনতা হোক নিরাপরাধ, কেন্দ্রের কাছে মতামত চাইল সুপ্রিম কোর্ট
Consensual Physical Relation: অনেক সময়ই ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা, যারা সদ্য় কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পা রাখছেন, তারা উভয়ের সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী তা ধর্ষণ হিসাবেই গণ্য করা হয়। এই আইনের বিধান পরিবর্তনের জন্যই সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।
নয়া দিল্লি: যৌন সম্পর্কে সম্মতির জন্য ন্যূনতম বয়স (Consent Age) কত হওয়া উচিত? ১৬ নাকি ১৮? এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) এই নিয়ে একাধিক মামলা-আর্জি দাখিল হয়েছে। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হল। অনেক সময়ই ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা, যারা সদ্য় কৈশোর পেরিয়ে যৌবনে পা রাখছেন, তারা উভয়ের সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী তা ধর্ষণ হিসাবেই গণ্য করা হয়। এই আইনের বিধান পরিবর্তনের জন্যই সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। তার শুনানিতেই কেন্দ্রের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী হর্ষ বিভোর সিঙ্ঘল। শুক্রবার সেই আবেদনই গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। ওই বেঞ্চের তরফেই কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং জাতীয় মহিলা কমিশন সহ একাধিক কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হয়।
কী বলা হয়েছে জনস্বার্থ মামলায়-
আইন অনুযায়ী, ১৬ বছর থেকে ১৮ বছরের কম বয়সী কিশোর-কিশোরী যদি উভয় সম্মতিতেও যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়, তবে তা ধর্ষণ হিসাবেই গণ্য করা হয়, কারণ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের সম্মতি আইন গ্রাহ্য করে না। পকসো আইনের অধীনে এটি ধর্ষণ হিসাবে অভিযোগ দায়ের হয়। জনস্বার্থ মামলায় আইনজীবী হর্ষ বিভোর জানিয়েছেন, ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের শারীরিক, জৈবিক, মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক ক্ষমতা রয়েছে কোনও কিছু বিচার করা ও তার কী কী ঝুঁকি রয়েছে, তা বোঝার। নিজেদের দেহের সঙ্গে তারা কী করতে চায়, তার স্বাধীনতা রয়েছে তাদের। তাই ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা যদি উভয় সম্মতিতে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়, তবে তা যেন অপরাধ হিসাবে গণ্য না করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত জুলাই মাসেই মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টও কেন্দ্রকে যৌনতায় সম্মতির বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে ১৬ বছর করার পরামর্শ দিয়েছিল। সেই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল যে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ১৪ বছর বয়স থেকেই যৌনতা সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন হয়ে যায় কিশোর-কিশোরীরা। ওই বয়সেই তাদের একে অপরের প্রতি শারীরিক আকর্ষণও তৈরি হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অনেক সময়ই আইনের অপব্যবহার করে পুরুষকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হতে হয়। এতে আখেরে ক্ষতি কিশোরীরও হয়।