Food Adulteration: পনিরে কি সত্যিই জল মেশানো হয়েছিল? সুপ্রিম কোর্টে অব্যাহতি পেল বাংলার মিষ্টি দোকান

Food Adulteration: খাবারে ভেজাল ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। তবে তেমন কোনও প্রমাণ পায়নি সুপ্রিম কোর্ট।

Food Adulteration: পনিরে কি সত্যিই জল মেশানো হয়েছিল? সুপ্রিম কোর্টে অব্যাহতি পেল বাংলার মিষ্টি দোকান
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 26, 2022 | 12:51 AM

নয়া দিল্লি: খাবারে ভেজাল দেওয়ার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেল পশ্চিমবঙ্গের একটি মিষ্টি দোকান। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পনিরে ভেজাল দেওয়াহ যে অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগ নিশ্চিত নয় বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সত্যিই পনিরে জল মেশানো হয়েছিল কি না, সে ব্যাপারে কোনও প্রমাণ নেই বলেও উল্লেখ করেছে আদালত।

আদালত পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছে, পনিরে জল মেশানো হয়েছিল, নাকি স্বাভাবিক নিয়মেই ভেজা ছিল পনির, তেমন কোনও প্রমাণ নেই। তাই মিষ্টি দোকানের মালিককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই ধরনের খাবারকে ভেজাল বলা সম্ভব নয়।

প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট অবধি গড়িয়েছিল এই মামলা। সেখানে মিষ্টি দোকানের মালিককে জেল ও জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। দু বছর জেল ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন ওই দোকান মালিক। বিচারপতি আব্দুল নাজির ও বিচারপতি ভি সুব্রহ্মণ্যমের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে সেই মামলার শুনানি। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, দুধের ঘনত্ব কতটা ছিল, কতটা ভাল ছিল দুধ, তার ওপরও পনিরের গুন নির্ভর করতে পারে।

জানা গিয়েছে, ফুড ইন্সপেক্টর সংশ্লিষ্ট দোকান থেকে ৭৫০ গ্রাম পনির নিয়েছিলেন। এরপর গুনগত মান পরীক্ষা করতে দেন তিনি। তাতে দেখা যায়, পনিরে জল বা জল জাতীয় অংশ রয়েছে ৭৭.৬ শতাংশ। ৭০ শতাংশের বেশি জল থাকলে তা ভেজাল বলে চিহ্নিত হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

এই মামলায় শাস্তি দিলে, কোনও দোষ না করেও সাজা পেতে হতে পারে। তাই সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশ। অর্থাৎ হাইকোর্ট যে জেল ও জরিমানা ধার্য করেছিল, তা তেকে অব্যাহতি পেলেন ওই দোকান মালিক।