Karnataka Hijab Row: জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি খারিজ, হোলির পর সুপ্রিম কোর্টে উঠবে হিজাব মামলা
Karnataka Hijab Row in Supreme Court: বিতর্কের জল গড়ায় আদালত অবধি। বিগত এক মাস ধরে শুনানি চলার পর অবশেষে গতকাল কর্নাটক হাইকোর্টের তরফে চূড়ান্ত রায়দান করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব সহ সমস্ত ধর্মীয় পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকেই জারি রাখা হয়।
নয়া দিল্লি: ফের হিজাব মামলা গড়াল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। মঙ্গলবার কর্নাটক হাইকোর্ট(Karnataka High Court)-র তরফে হিজাব মামলার চূড়ান্ত রায়দান করার পরই পাঁচ পড়ুয়া এদিন সুপ্রিম কোর্টে জরুরিভিত্তিক শুনানির আর্জি জানান। তবে শীর্ষ আদালতের তরফে এই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। হোলির ছুটি পার হওয়ার পর এই সংক্রান্ত আর্জি শুনানির বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই গোটা দেশ উত্তাল হয়েছিল হিজাব বিতর্ক (Hijab Controversy)-কে কেন্দ্র করে। কর্নাটকের গণ্ডি পার করেও এই বিতর্কের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে। গতকালই কর্নাটক হাইকোর্টের তরফে রায় ঘোষণা করে বলা হয়, ধর্মাচরণে অপরিহার্য নয় হিজাব।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কর্নাটকের উদুপির একটি সরকারি কলেজে হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের ঢুকতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করেই হিজাব বিতর্ক শুরু হয়। এরপরই রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্তেও একই নির্দেশিকা জারি করা হয়। একদিকে যেমন হিজাব পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে দেওয়ার দাবিতে স্কুল-কলেজের বাইরে বিক্ষোভ শুরু হয়, তেমনই আবার বেশ কিছু পড়ুয়া হিজাব পরার বিরোধিতা করে কলেজে গেরুয়া শাল পড়ে আসেন। বিতর্কে রাশ টানতে কর্নাটক সরকার ময়দানে নামে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনও প্রকার ধর্মীয় পোশাক পরে আসার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিতর্কের জল গড়ায় আদালত অবধি। বিগত এক মাস ধরে শুনানি চলার পর অবশেষে গতকাল কর্নাটক হাইকোর্টের তরফে চূড়ান্ত রায়দান করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব সহ সমস্ত ধর্মীয় পোশাকের উপর নিষেধাজ্ঞার নির্দেশকেই জারি রাখা হয়।
আদালতের রায়দানে সন্তুষ্ট না হওয়ায়, এরপরই পাঁচজন পড়ুয়া সুপ্রিম কোর্টে জরুরিভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানান। তাদের হয়ে আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি জানান। গতকাল নিবা নাজ় নামক এক ছাত্রীও কর্নাটক হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন।
তবে এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে জরুরি ভিত্তিতে মামলার শুনানির আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। হোলির ছুটি শেষ হওয়ার পর এই সংক্রান্ত আর্জিগুলির শুনানি করা হবে কিনা, তা বিচার করে দেখা হবে।