Uttar Pradesh: পুলিশের থেকে ব্যবসায়ী হত্যা মামলা সিবিআইকে হস্তান্তর করল সুপ্রিম কোর্ট
manish gupta, গত সেপ্টেম্বর মাসে গোরক্ষপুরের এক হোটেলে পুলিশি অভিযানের সময় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় কানপুরের ব্যবসায়ী ৩৬ বছর বয়সী মণীশ গুপ্তার। এক সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর সহ ৬ পুলিশ কর্মীকে এই ঘটনায় জন্য দায়ী করা হয়েছিল।
নয়া দিল্লি: আজ, গোরক্ষপুরের (Gorakhpur) হোটেলে পুলিশি অভিযানের সময় মৃত উত্তর প্রদেশের ব্যবসায়ী মণীশ গুপ্তা (Businessman Manish Gupta) মামলা উত্তর প্রদেশ পুলিশের (UP Police) হাত থেকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। হোটেলে পুলিশের তল্লাশি চালানোর সময় অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয় কানপুরের ব্যবসায়ী মণীশ গুপ্তার। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর তার স্ত্রীয়েক অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আজকের এই রায়ের পর দিল্লির বিশেষ সিবিআই আদালতে এই মামলার শুনানি হবে।
মৃত ব্যবসায়ীর স্ত্রী মিনাক্ষি গুপ্তার বলেন, মৃতের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা আছে যে মৃতের দেহে একাধিক গভীর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। রিপোর্টে বলা রয়েছে আঘাতের কারণে তিনি কোমাতে চলে যান এরপরেই তাঁর মৃত্যু হয়। মিনাক্ষি দেবীর আইনজীবীদের দাবি, এই মৃত্যুর সঙ্গে একাধিক ‘প্রভাবশালী ব্যক্তি’ যুক্ত রয়েছেন, তাই মামলাকারীর নিরাপত্তার তাগিদে এবং ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে এই মামলা সিবিআই আদালতে পাঠানো হোক। আইনজীবীরা বলেন, আদালতই আমাদের যোগ্য বিচার দিতে পারে।
নিজের আবেদনে মামলাকারী শ্রীমতি গুপ্তা জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটের ওপর তাঁর কোনও ভরসা নেই। তাই ক্ষমতাশালী পুলিশ আধিকারিকদের হস্তক্ষেপ এড়াতে এই মামলা দিল্লির সিবিআই আদলতে পাঠানো হোক বলেও দাবি করেন তিনি। মিনাক্ষি গুপ্তার দাবি, অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে উত্তপ প্রদেশ পুলিশ পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, আগে এই ঘটনাকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল এবং ঘটনা ঘটার ৪৮ ঘণ্টা পরে এফআইআর দায়ের করা হয়। উত্তর প্রদেশ পুলিশের আইনজীবী তথা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন মামলাকারীর এই আবেদনে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি নেই।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে গোরক্ষপুরের এক হোটেলে পুলিশি অভিযানের সময় রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় কানপুরের ব্যবসায়ী ৩৬ বছর বয়সী মণীশ গুপ্তার। এক সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর সহ ৬ পুলিশ কর্মীকে এই ঘটনায় জন্য দায়ী করা হয়েছিল। মৃতের পরিবারে অভিযোগ ছিল পুলিশি নিগ্রহের কারণেই মণীশের মৃত্যু হয়েছিল। এমনকি আহত ব্যবসায়ীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি বলেও পরিবারের তরফে দাবি করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃতের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছিল। তারমধ্যে মাথার আঘাত ছিল গুরুতর। বিরোধী দলের চাপের মুখে অভিযুক্ত ওই ৬ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য ও ঘোষণা করে উত্তর প্রদেশ সরকার।