Norovirus: করোনার মাঝেই নয়া আতঙ্ক নরোভাইরাস, আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই সতর্কতা কেরল জুড়ে

Norovirus Symptoms: নরোভাইরাসের সাধারণ উপসর্গগুলি হল বমি, ডায়েরিয়া, পেটে ব্যাথ্যা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, জ্বর, মাথা ও শরীরে ব্যাথ্যা। অতিরিক্ত বমি ও ডায়েরিয়ার কারণে শরীর জলশূন্য হয়ে পড়তে পারে, যার ফলে আরও জটিলতার সৃষ্টি হয়।

Norovirus: করোনার মাঝেই নয়া আতঙ্ক নরোভাইরাস, আক্রান্তের খোঁজ মিলতেই সতর্কতা কেরল জুড়ে
কেরলে খোঁজ মিলল নরোভাইরাসের। প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 12, 2021 | 11:46 PM

তিরুবনন্তপুরম: ফের নয়া রোগের আতঙ্ক কেরলে (Kerala)। ওয়েনাড জেলায় খোঁজ মিলল নরোভাইরাসে (Norovirus) আক্রান্তের। প্রাণীদেহ থেকে সংক্রমিত এই ভাইরাসের খোঁজ মিলতেই কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ (Veena George) রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকতে বললেন। সংক্রমণ রোধে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।

দুই সপ্তাহে ওয়েনাড জেলার একটি কলেজে ১৩ জন পড়ুয়ার দেহে এই বিরল ভাইরাসের খোঁজ মেলে। একসঙ্গে এতজন পড়ুয়া নরোভাইরাসেই আক্রান্ত হয়েছেন, এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই, শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন রাজ্যের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ওই বৈঠকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজ্যজুড়ে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে এই সংক্রামক রোগ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে ও রোগ প্রতিরোধের নানা উপায় নিয়ে প্রচার চালানোর নির্দেশও দিয়েছেন। ওয়োনাড জেলার বাসিন্দাদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনও কারণ নেই। তবে সকলের সতর্ক থাকা উচিত। জলে ক্লোরিন মেশানো থেকে শুরু করে নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পানীয় জল যাতে বিশুদ্ধ হয়, সেই বিষয়টিই নিশ্চিত করতে হবে। সঠিক সতর্কতা ও চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের দ্রুত নিরাময় সম্ভব। সেই কারণেই রাজ্যবাসী যাতে রোগটি নিয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকেন, তার জন্য প্রচার শুরু করা হচ্ছে।”

নরো ভাইরাস কী?

নরোভাইরাস হল এক ধরনের ভাইরাস, যা গ্রাস্ট্রোইনটেস্টিনাল রোগের সৃষ্টি করে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পেট ও অন্ত্রে প্রদাহ বা জ্বালা শুরু হয়। এছাড়াও লাগাতার বমি ও ডায়েরিয়াও হয়। প্রাণীদেহে এই ভাইরাসের খোঁজ মিললেও জল ও খাবারের মাধ্যমে তা মানবদেহেও সংক্রমিত হতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির মল ও বমি থেকে অপর ব্যক্তিও আক্রান্ত হতে পারেন, ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস।

সুস্থ ব্যক্তিদের দেহে নরোভাইরাস খুব একটা প্রভাব ফেলতে না পারলেও মূলত কমবয়সী, বয়স্ক ও কো-মর্ডিবিটি যুক্ত ব্যক্তিরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। আক্রান্ত হওয়ার দু-তিনদিন পর থেকে উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

নরোভাইরাসের উপসর্গ:

নরোভাইরাসের সাধারণ উপসর্গগুলি হল বমি, ডায়েরিয়া, পেটে ব্যাথ্যা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, জ্বর, মাথা ও শরীরে ব্যাথ্যা। অতিরিক্ত বমি ও ডায়েরিয়ার কারণে শরীর জলশূন্য হয়ে পড়তে পারে, যার ফলে আরও জটিলতার সৃষ্টি হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, নরোভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়িতেই ওআরএস এবং ফোটানো জল খেলে এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিলেই সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল।

কীভাবে সংক্রমণ রোখা সম্ভব?

১. ব্যক্তগত পরিচ্ছন্নতা ও আশেপাশের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।

২. নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে খাবার খাওয়ার আগে এবং শৌচালয় ব্যবহারের পর। যারা পশুর সংস্পর্শে আসেন, তাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

৩. জল পরিশুদ্ধ রাখতে ক্লোরিনের ব্যবহার করা উচিত। কুয়ো ও জলের ট্যাঙ্কগুলিকেও নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পরিস্কার করা উচিত। এলাকায় সংক্রমণ ছড়ালে সাধারণ ব্যবহারের জন্য ক্লোরিনযুক্ত জলের ব্যবহার এবং পানীয় জলের ক্ষেত্রে ফোটানো জলই পান করা উচিত।

৪. ফল ও সবজিও ভালভাবে ধুয়ে তারপরই খাওয়া বা রান্না করা উচিত।

৫. সামুদ্রিক মাছ, কাঁকড়া, ঝিনুককে ভালভাবে রান্না করার পরই খাওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: Aryan Khan Drug Case: আর কোনও পার্টি নয়, জন্মদিনে এনসিবির দফতরেই দেখা মিলল আরিয়ানের