‘অশুভ আত্মাও তোমার সঙ্গে করেছে…’, ভূত তাড়ানোর নামে মহিলাকে ধর্ষণ তান্ত্রিকের
Physical Assault: তান্ত্রিক ওই মহিলাকে দেখে বলেন, তাঁর ঘাড়ে অনেক দোষ রয়েছে। ভূতের ছায়াতেই তাঁর শরীর খারাপ হচ্ছে। এরপর পরিবারের অন্য মহিলারাও প্রভাবিত হবেন। ভূত তাড়ালে অনেক ধরনের পুজো করতে হবে।
লখনউ: ভূত তাড়ানোর নামে মহিলার সঙ্গে ভয়ঙ্কর নির্যাতন। ক্ষীরে নেশা দ্রব্য মিশিয়ে মহিলাকে অচেতন করে ধর্ষণ করল তান্ত্রিক। জ্ঞান ফিরতেই মহিলা প্রতিবাদ করেন। তান্ত্রিক তাঁর মুখ বন্ধ রাখতে বোঝায় যে ওই মহিলার ঘাড়ে যে ভূত চেপেছিল, সে-ও তাকে ধর্ষণ করত। অশরীরী আত্মা হওয়ায় বুঝতে পারতেন না! কিন্তু বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে থাকেনি বেশিদিন। ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে বিষয়টি খুলে বলতেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরে। রামগড়ের বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা মহিলা বহুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। বহু চিকিৎসক দেখিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সম্প্রতি এক আত্মীয় এসে বলেন যে চেনা এক তান্ত্রিক রয়েছেন, যিনি সব রোগ নিরাময় করতে পারেন। তার কথা শুনেই খাজনি থানা এলাকায় ওই তান্ত্রিকের কাছে যান।
তান্ত্রিক ওই মহিলাকে দেখে বলেন, তাঁর ঘাড়ে অনেক দোষ রয়েছে। ভূতের ছায়াতেই তাঁর শরীর খারাপ হচ্ছে। এরপর পরিবারের অন্য মহিলারাও প্রভাবিত হবেন। ভূত তাড়ালে অনেক ধরনের পুজো করতে হবে।
তান্ত্রিকের কথায় বিশ্বাস করে পুজো-পাঠ শুরু হয়। একদিন তান্ত্রিক এসে বলেন, ক্ষীর ভোগ দিতে হবে। ওই মহিলাকেই সেই ক্ষীর রান্না করতে হবে। যজ্ঞে যখন সেই ক্ষীর দেওয়া হবে, তখন বাড়ির কোনও সদস্য উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তাহলে তাদের ঘাড়ে চাপবে ভূত। একা ওই মহিলা ক্ষীর অর্পণ করে, তা খেলে ভূত দূর হবে, যজ্ঞের আগুনেই পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাবে।
নির্যাতিতার অভিযোগ, পুজো-পাঠের ফাঁকতালেই ক্ষীরে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেয় তান্ত্রিক। ওই মহিলা সেই ক্ষীর খেয়ে জ্ঞান হারাতেই তাঁকে ধর্ষণ করে তান্ত্রিক। সংজ্ঞা ফিরতেই ওই মহিলা বুঝতে পারেন, তার সঙ্গে খারাপ কিছু হয়েছে। তান্ত্রিক তাঁর মুখ বন্ধ রাখতে বোঝায় যে ভূতও তাঁকে ধর্ষণ করত, কিন্তু তিনি বুঝতে পারতেন না। দোষ কাটাতেই একই কাজ করেছেন তান্ত্রিক।
তাঁকে মুখ বন্ধ করে রাখতে বললেও, তিনি স্বামীকে গোটা বিষয়টি জানান। এরপরই পুলিশে গিয়ে অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ ওই তান্ত্রিককে খুঁজছে।