Bihar Politics: নীতীশ নয়, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে কে, জানেন?
Bihar Politics: এনডিএ-জেডিইউ জোট ভাঙার পরই বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হতে পারেন, তা নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের তুলনায় আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকেই সকলের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পছন্দ।
পটনা: মঙ্গলবারের বারবেলায় বদলে গিয়েছে বিহারের রাজনৈতিক চিত্র। বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। সেদিন বিকেলেই ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে। আবার বুধবারই আরজেডি-কংগ্রেস সহ মোট ৭টি দলের সমর্থন ও দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করলেন নীতীশ কুমার। মহাগঠবন্ধনের সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আরজেডি নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব। নতুন জোট তৈরি হওয়ার একদিনের মধ্যেই নয়া জোটে কোন দল বেশি লাভবান হল, তার বিচার-বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। সি-ভোটারের করা একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই জোটে সবথেকে লাভবান হয়েছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদবই। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও পছন্দের তালিকায় তিনি নীতীশ কুমারকেও ছাপিয়ে উপরে চলে এসেছেন।
এনডিএ-জেডিইউ জোট ভাঙার পরই বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হতে পারেন, তা নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতাদের তুলনায় আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকেই সকলের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে পছন্দ। এমনকি তাঁর জনপ্রিয়তা বর্তমানে বিহারের আটবারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমারের থেকেও বেশি। সি ভোটারের সমীক্ষায় মতদাতাদের ৪৩ শতাংশেরই পছন্দ ছিল তেজস্বী যাদব। সেই তুলনায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নীতীশ কুমারকে ২৪ শতাংশ এবং কোনও বিজেপি নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চেয়েছিলেন ১৯ শতাংশ।
মহিলাদের মধ্যেও পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তেজস্বী যাদবই। প্রায় ৪১.৮ শতাংশ মহিলা চেয়েছেন তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী হোক। সেখানেই মাত্র ২৩.৮ শতাংশ মহিলা নীতীশ কুমারকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চেয়েছিলেন। শুধুমাত্র মহিলারাই নয়, সমাজের বাকি শ্রেণিগুলিতেও মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সকলের পছন্দ হয়ে উঠেছেন লালু-পুত্র।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জনতার পছন্দ বদলানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে ভাবমূর্তি। একদিকে যেমন বিগত কয়েক বছর ধরে সাধারণ মানুষের একাধিক ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন তেজস্বী, তার জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনদরদী ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। উল্টোদিকে, বারবার জোটসঙ্গী বদলের কারণে বিশ্বাসযোগ্যতা হারাতে শুরু করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার।