G. Kishan Reddy: নতুন সমস্যার প্যান্ডোরার বাক্স খুলেছে ধরণী, তেলাঙ্গনা সরকারকে তোপ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
G. Kishan Reddy: জি. কিষাণ রেড্ডি জানান, তেলঙ্গানার বিআরএস সরকার রাজ্যবাসীকে জমি সংক্রান্ত রেকর্ড দিতে ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সরকার স্বামীত্ব যোজনার মাধ্যমে দরিদ্রদের ঝামেলা-মুক্ত সম্পত্তির শংসাপত্র এবং দলিল প্রদান করছে।
হায়দরাবাদ: পুরসভার জমি-জমা সংক্রান্ত রেকর্ড সম্পর্কে জানার জন্য ধরণী পোর্টাল (Dharani Portal) নামক একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করেছে তেলঙ্গানা সরকার। কিন্তু, এই পোর্টালে আখেরে কোনও সমাধান হয়নি, বরং সমস্যা আরও বেড়েছে বলে বিআরএস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা তেলঙ্গানার রাজ্য বিজেপি সভাপতি জি. কিষাণ রেড্ডি (G. Kishan Reddy)। তাঁর কথায়, “ধরণী পোর্টাল পুরানো সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং নতুন সমস্যার একটি প্যান্ডোরার বাক্স খুলেছে।”
ধরণী পোর্টাল সম্পর্কে দলের তরফে এক বিবৃতি দিয়ে তেলঙ্গানার বিজেপি সভাপতি জি. কিষাণ রেড্ডির কটাক্ষ, নিজামের মতো কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সরকার কোনও দায়িত্ব ছাড়াই ক্ষমতা ও কর্তৃত্বে বিশ্বাস করে। তেলঙ্গানা আজ যে সমস্ত সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তার মূল কারণ এই ঔদ্ধত্য। তেলঙ্গানা সরকার আদতে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের নৈতিকতা ভুলে গিয়েছে। যেভাবে ধরণী সিস্টেমটি আনা হয়েছিল, সেটি আদতে কোনও সমস্যার সমাধান করেনি। বরং পুরানো সমস্যাগুলিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং নতুন সমস্যার একটি প্যান্ডোরার বাক্স তৈরি করেছে বলেও তোপ দাগেন জি. কিষাণ রেড্ডি। এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রের স্বামীত্ব যোজনা প্রকল্পের উল্লেখও করেন তিনি।
স্বামীত্ব যোজনা প্রসঙ্গে জি. কিষাণ রেড্ডি জানান, তেলঙ্গানার বিআরএস সরকার রাজ্যবাসীকে জমি সংক্রান্ত রেকর্ড দিতে ক্রমাগত ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সরকার স্বামীত্ব যোজনার মাধ্যমে দরিদ্রদের ঝামেলা-মুক্ত সম্পত্তির শংসাপত্র এবং দলিল প্রদান করছে।
ধরণী পোর্টালের তীব্র সমালোচনা করার পাশাপাশি তেলঙ্গানায় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গেও চন্দ্রশেখর রাও সরকারকে তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি। বিআরএস সরকারকে অগণতান্ত্রিক, অত্যাচারী তোপ দেগে তিনি বলেন, “গত ৯ বছরে বিআরএস পার্টি একটি অগণতান্ত্রিক, অত্যাচারী শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে এবং নিজামী মানসিকতাকে ধরে রেখেছে।” তেলঙ্গানা সরকার যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সংবাদপত্র নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কে. চন্দ্রশেখর রাও-কেও একহাত নেন জি. কিষাণ রেড্ডি। তাঁর কথায়, “নিজামের মতো বিআরএস সরকার ক্ষমতা এবং কর্তৃত্বে বিশ্বাসী। সাংবাদিকদের নির্মম হুমকির কথাও ভুলে যাবেন না, যেখানে তিনি তাঁদের ১০ কিলোমিটার মাটির নীচে পুঁতে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন।”
‘ধরণী’ প্রসঙ্গে এদিন এক ইংরেজি সংবাদপত্রে তেলঙ্গানার এক বেসরকারি সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেটা বিআরএস সরকারের দায় থেকে হাত তুলে নেওয়ার একটি ‘লজ্জাজনক প্রয়াস’ বলে কটাক্ষ করেছেন জি. কিষাণ রেড্ডি। তেলঙ্গনার নাগরিক বিশেষত, প্রায় ৭৫ লক্ষ কৃষক সমস্যায় পড়েছেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। ধরণী-র পদ্ধতি পুরানো সমস্যাগুলিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এবং নতুন সমস্যার একটি প্যান্ডোরার বাক্স তৈরি করেছে তোপ দেগে সমগ্র প্রক্রিয়ার সংশোধন করা জরুরি বলেও দাবি জানান তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি আরও বলেন, “এখন বেসরকারি সংস্থার আড়ালে না থেকে বিআরএস সরকারের নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নেওয়া উচিত।”