Delhi Murder: মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরতে বাধা, বাড়িওয়ালাকে চরম ‘সবক’ শেখাল ভাড়াটে
Landlord and Tenant: পরের দিন সকালে সুরেশের ছেলে জগদীশকে ফোন করে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানায়, সে বাড়ি ছেড়ে দিয়েছে কারণ তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়েছে এবং তাঁকে গালিগালাজ করা হয়েছে।
নয়া দিল্লি: বাড়িওয়ালার মাথায় হাতুড়ি মেরে তাঁকে খুন করলে ভাড়াটে। খুন করে পালিয়ে যাওয়ার আগে মৃতদেহের সঙ্গে সেলফি তুলেছে অভিযুক্ত ব্যক্তি। দিল্লিতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে যখন বাড়ির মালিকের ছেলেকে ফোন করে অভিযুক্ত জানায় যে সে বাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পঙ্কজ কুমার নামের ওই ব্যক্তি আসলে বিহারের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, কয়েকদিন আগেই ভাড়াটে হিসেবে ওই বাড়িতে উঠেছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি। পঙ্কজ মদ্যপানে আসক্ত ছিল, সেই নিয়ে বাড়িওয়ালা সুরেশের সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। তখনও বাড়িওয়ালার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি মারে পঙ্কজ। খুনের পর সুরেশের আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত পঙ্কজ।
পরের দিন সকালে সুরেশের ছেলে জগদীশকে ফোন করে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানায়, সে বাড়ি ছেড়ে দিয়েছে কারণ তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়েছে এবং তাঁকে গালিগালাজ করা হয়েছে। সহ্য করতে না পেরেই তিনি বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফোন পেয়ে জগদীশের সন্দেহ হয়, দৌড়ে দোতলার ঘরে গিয়ে তিনি দেখতে পান তাঁর বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ৯ অগস্ট পঙ্কড ও সুরেশের মধ্যে এই ঝামেলার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই সময় পঙ্কজ মদ্যপ অবস্থায় ছিল। পরে সে সুরেশ ও জগদীশের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন।
খুনের ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পঙ্কজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়ার পর ইলেকট্রনিক নজরদারি ও দীর্ঘ ২৫০ কিলোমিটার ধাওয়া করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বীকার করেছে, তাঁকে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ঢুকতে নিষেধ করেছিল সুরেশ। অপমানিত বোধ করায় রাগে সুরেশকে হাতুড়ি মেরে হত্যা করে পঙ্কজ। পঙ্কজ পুলিশকে জানিয়েছে, ঘুমন্ত অবস্থায় সুরেশকে হত্যা করেছে সে এবং জানিয়েছে খুনের পর মৃতদেহের সঙ্গে সেলফি তুলেছে এবং মৃতদেহের ভিডিয়ো করেছে।