Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Thailand: কোভিডের চিকিৎসার জেরে শিশুর বাদামি চোখ হয়ে গেল নীল! ধাঁধায় বিজ্ঞানীরা

Thailand baby eyes turn blue from Covid-19 treatment: গবেষকরা বলছেন, শিশু রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাভিপিরাভির ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের সর্বদা পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Thailand: কোভিডের চিকিৎসার জেরে শিশুর বাদামি চোখ হয়ে গেল নীল! ধাঁধায় বিজ্ঞানীরা
বাদামি চোখের মণি হয়ে গেল নীল Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2023 | 9:28 PM

ব্যাঙ্কক: গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন রকম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে কোভিড-১৯ মহামারি। প্রিয়জনদের হারানোর শোক তো রয়েইছে, সেই সঙ্গে এখনও এই ভাইরাসের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের মোকাবিলা করতে হচ্ছে বহু মানুষকে। এই অবস্থায় থাইল্যান্ডে কোভিডকে কেন্দ্র করে এক ব্যতিক্রমী, অস্বাভাবিক এবং বিরল জটিলতা দেখা দিল। যা নিয়ে বিভ্রান্ত চিকিৎসক এবং গবেষকরাও। কোভিড-১৯-এর চিকিৎসার জেরে সেই দেশের এক ছয় মাস বয়সী শিশুর চোখের মণির রঙ পাল্টে গিয়েছে। আগে তার চোখের মণির রঙ ছিল বাদামি, চিকিৎসার পর হয়ে গিয়েছে নীল।

স্থানীয় প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাথমিকভাবে শিশুটির কাশি এবং জ্বর হয়েছিল। পরে তাঁর কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। চিকিত্সার জন্য শিশুটিকে ‘ফেভিপিরাভির’ নামে এক ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ওষুধের ডায়েরিয়ার মতো কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। সেই সকল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছিল। কিন্তু, সেই সঙ্গে চিকিৎসকরা দেখেছিলেন এক আশ্চর্য পরিবর্তন। চিকিৎসা শুরুর মাত্র ১৮ ঘণ্টার মধ্য়েই বদলে গিয়েছিল শিশুটির চোখের মণির রঙ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই পরিবর্তন শুধুমাত্র শিশুটির চোখেই দেখা গিয়েছে। ত্বক, নখ বা নাকের মতো শরীরের অন্যান্য অংশে কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না।

সৌভাগ্যবশত, তিন দিন পরই শিশুর কোভিডের লক্ষণগুলি চলে যেতে শুরু করেছিল। চিকিৎসকরাও ‘ফেভিপিরাভির’ দেওয় বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ওই ওষুধ দেওয়া বন্ধের পাঁচদিন পরই শিশুটির চোখের মণির স্বাভাবিক রঙ ফিরে এসেছিল, অর্থাৎ, আবার তার চোখের মণির রঙ বাদামি হয়ে গিয়েছিল। ২ সপ্তাহ পর, এক চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ শিশুটির চোখ পরীক্ষা করেছিলেন। তিনি তার চোখে আলো ফেলে দেখেন। শিশুটি সেই আলো সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পেরেছিল। তার চোখের মণিতেও নীল আভা ছিল না।

কিন্তু, ফেভিপিরাভির দেওয়ায় কেন তার চোখের মণির রঙ বদলে গিয়েছিল, তার কোনও কারণ খুঁজে পাননি চিকিৎসকরা। এই ওষুধে টাইটানিয়াম ডাই অক্সাইড এবং ফেরিক অক্সাইড থাকে। এই উপাদানগুলির জন্যই চোখের মণির রঙ বদলে গিয়েছিল বলে সন্দেহ করছেন তাঁরা। তবে, তাঁরা নিশ্চিত নন। এই অবস্থায় গবেষকরা বলছেন, শিশু রোগীদের ক্ষেত্রে ফ্যাভিপিরাভির ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের সর্বদা পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসঙ্গত ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, ভারতেও প্রায় একই ধরনের একটি ঘটনার কথা জানা গিয়েছিল। সেই ক্ষেত্রে অবশ্য কোনও শিশু নয়, বাদামী চোখের এক ২০ বছরের যুবকের চোখের মণির রঙ নীল হয়ে গিয়েছিল। তিনিও কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন। অবস্থার কোনও উন্নতি না হওয়ায়, দুই দিন পর ফেভিপিরাভির দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। দ্বিতীয় দিনই, তাঁর চোখের মণির রঙ বদলে গিয়েছিল। চিকিৎসকরা অবিলম্বে ফেভিপিরাভির দেওয়া বন্ধ করেছিলেন। ওষুধ বন্ধ করার মাত্র একদিন পরই তার চোখের মণির স্বাভাবিক রঙ ফিরে এসেছিল।