Congress: ‘কংগ্রেসে ফাটল দেখা গিয়েছে’, সংকট নিয়ে মুখ খুললেন ‘বিক্ষুব্ধ’ মণীশ তিওয়ারি

Congress: জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারা বেশ কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেসের বিভিন্ন সাংগঠনিক রদবদলের দাবি জানিয়েছিলেন। এমনকী বিগত কয়েক সপ্তাহে অনেকে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন।

Congress: 'কংগ্রেসে ফাটল দেখা গিয়েছে', সংকট নিয়ে মুখ খুললেন 'বিক্ষুব্ধ' মণীশ তিওয়ারি
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2022 | 11:42 AM

নয়া দিল্লি: কংগ্রেসে নজিরবিহীন সংকট পরিস্থিতি চলছে। একের পর এক প্রবীণ নেতার পদত্যাগ ঘিরে এই মুহূর্তে বিপাকে শতাব্দীপ্রাচীন রাজনৈতিক দল। এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি। তাঁর মতে কংগ্রেসের ‘অন্তর্দৃ্ষ্টি’ প্রয়োজন এবং তিনি মনে করেন ‘দেশ ও কংগ্রেসের মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে।’ কংগ্রেসের অন্দরে বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতাদের অন্যতম সদস্য মণীশ। বছর দুয়েক আগে দেশের যে শীর্ষস্থানীয় ২৩ জন কংগ্রেস নেতা দলীয় সভাপতি সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে সাংগঠনিক রদবদলের দাবি জানিয়েছিলেন, মণীশ তিওয়ারিও তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।

জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারা বেশ কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেসের বিভিন্ন সাংগঠনিক রদবদলের দাবি জানিয়েছিলেন। এমনকী বিগত কয়েক সপ্তাহে অনেকে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কড়া সমালোচনা করে দল ছেড়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাব নবি আজ়াদ। অন্যদিকে আরেক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মাও ‘আত্মসম্মান’-এর কথা বলে হিমাচল প্রদেশের দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

কংগ্রেস প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে কথা বলার সময় মণীশ তিওয়ারি বলেন, “দু’বছর আগে, আমরা ২৩ জন সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে জানিয়েছিলাম দলের অবস্থা শোচনীয় এবং গুরুত্বের সঙ্গে পদক্ষেপ করা দরকার। ওই চিঠির পর সব রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের পরাজয় হয়েছে। যদি কংগ্রেস এবং ভারত একইভাবে চিন্তা করে, তবে এখন মনে হচ্ছে যে উভয়েরই আলাদাভাবে ভাবতে শুরু করেছে। কংগ্রেসের মধ্যে একটি ফাটল দেখা গিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। আত্মসমীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমি মনে করি ২০ ডিসেম্বর ২০২০ সালে সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে যে আলোচনায় যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তা কার্যকর করা হলে এই পরিস্থিতি তৈরি হত না।”

এদিন এক শ্রেণির কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষও করেন মণীশ তিওয়ারি। তিনি বলেন, “আজাদের চিঠি নিয়ে একমাত্র তিনিই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারবেন। তবে আমি দেখে আশ্চর্য হয়ে যাই, যাদের একটি ওয়ার্ডের নির্বাচনে লড়াই করার যোগ্যতা নেই, যাঁর কংগ্রেস নেতাদের চাপরাশি ছিলেন, তারাও দল নিয়ে জ্ঞান দিচ্ছে।” যেভাবে একের পর এক কংগ্রেস নেতা দলীয় নীতি নিয়ে মুখ খুলছেন, তাতে আগামী দিনে কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।