Dibyendu Adhikari: শীঘ্রই বিজেপিতে যাচ্ছেন? দিব্যেন্দু বলছেন, ‘মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই’, সুকান্ত বলছেন, ‘ক্রমশ প্রকাশ্য’
Dibyendu Adhikari: সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করতেই রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় দিব্যেন্দুকে। তাঁর দাবি, “সাধারণ মানুষ যেভাবে বাংলায় আক্রান্ত, আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারে কেন্দ্রের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা দরকার।”

নয়া দিল্লি: দাদার দেখানো পথে হেঁটেই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী? লোকসভা ভোটের আগেই হয়ে যাবে দলবদলের প্রক্রিয়া? জল্পনা চলছিলই। তারমধ্যেই এদিন দিব্যেন্দু সাফ বলে দিলেন, তিনি আর তৃণমূলে থাকতে চান না। বলতে গিয়ে যদিও দলবদল নিয়ে খানিক ধোঁয়াশা বজায় রাখলেন। তবে এদিন সংসদ চত্বরে বেশ কিছুক্ষণ বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে ঘোরাঘুরিও করতে দেখা যায় তাঁকে। হাসিমুখে আলিঙ্গনও করেন একে অপরকে। তারপরই চলে যাচ্ছিলেন দু’জনে। তখনই ধেয়ে গেল প্রশ্নটা। তাহলে কী শীঘ্রই বিজেপিতে আসছেন দিব্যেন্দু? সুকান্ত শুধু বললেন, “ক্রমশ প্রকাশ্য”।
তবে কি বীতশ্রদ্ধ হয়েই শেষ পর্যন্ত দলবদলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন দিব্যেন্দু? উত্তরে তিনি বলেন, “আমি বীতশ্রদ্ধ নই। মানসিক যন্ত্রণায় আছি। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চাই।” আর তৃণমূল করবেন না? প্রশ্ন শুনে শুধু দু’দিকে ঘাড় নাড়তে দেখা গেল তাঁকে। বললেন, তৃণমূল কংগ্রেসে থাকব কি না তা ভবিষ্যৎ বলবে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি যে এখনও তাঁর শ্রদ্ধা আছে সে কথা জানাতে ভুললেন না। বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গ উঠতেই তাঁর অকপট উত্তর, রাজনীতি করতে হবে এমন কোনও ব্যাপার তো নেই। রাজনীতি করলে নিশ্চয় ভাবব। তৃণমূলের কথা কী ভাববেন? তাঁর স্পষ্ট উত্তর, না।
অন্যদিকে এদিন সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করতেই রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় দিব্যেন্দুকে। তাঁর দাবি, “সাধারণ মানুষ যেভাবে বাংলায় আক্রান্ত, আইন শৃঙ্খলার ব্যাপারে কেন্দ্রের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা দরকার।” প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই কাঁথি পুরসভার দু’বারের পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করেন। কিন্তু বাবা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু ঘাসফুল শিবিরেই থেকে যান।





