Election Contest: একবার-আধবার নয়, ২৩৮ বার ভোটে হেরেছেন এই ব্যক্তি, খরচ করে ফেলেছেন ১ কোটি, চেনেন তাঁকে?
Election Contest: কার কার বিরুদ্ধে তিনি লড়েছেন, তা জানলে অবাক হতে হয়। তাঁর প্রতিপক্ষের তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। ছিলেন, পি ভি নরসিংহ রাও, জয়ললিতা, করুণানিধি, এ কে অ্যান্টনি, এসএম কৃষ্ণ, বিজয় মাল্য।
নয়া দিল্লি: ইলেকশন কিং বা ‘ভোটের রাজা’ বলে তাঁকে চেনেন সবাই। ভোটে লড়েন তিনি, এটাই তাঁর নেশা। বছরের পর বছর এই ভোট এলেই মনোনয়ন জমা দেন তিনি। জেতেন না কখনই। কার্যত ভোটে হেরে যাওয়ার রেকর্ড তৈরি করে ফেলেছেন তামিলনাড়ুর কে পদ্মরাজন। এবারও দমেননি তিনি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ফের প্রার্থী হতে চলেছে পদ্মরাজন। ধরমপুরী কেন্দ্র থেকে এবার ভোটে লড়তে চলেছেন তিনি। পদ্মরাজন মোট ২৩৮ বার হেরে গিয়েছেন ভোটে।
পদ্মরাজন মনে করেন, ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেকেরই ভোটে লড়ার অধিকার আছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন- সবেতেই লড়েছেন তিনি। তখনও জেতেননি। লিমকা বুক অব রেকর্ডস ও দিল্লি বুক অব রেকর্ডসে নাম রয়েছে এই ব্যক্তির। তিনি ভারতের ভোট-ইতিহাসে সবথেকে ব্যর্থ প্রার্থীর তকমা পেয়েছেন।
কার কার বিরুদ্ধে তিনি লড়েছেন, তা জানলে অবাক হতে হয়। তাঁর প্রতিপক্ষের তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। ছিলেন, পি ভি নরসিংহ রাও, জয়ললিতা, করুণানিধি, এ কে অ্যান্টনি, এসএম কৃষ্ণ, বিজয় মাল্য। ৬ বার শুধু রাষ্ট্রপতি ও উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেই লড়েছেন তিনি। পদ্মরাজন বলেন, “জেতার স্বাদ আপনি একটা সময় পর্যন্ত পেতে পারেন, কিন্তু হারার অভিজ্ঞতা নয়। আমি জেতার জন্য ভোটে লড়ি না।”
তবে ভোটে লড়তে তো টাকাও খরচ হয়। এখনও পর্যন্ত ১ কোটি টাকা ভোটে লড়েই খসিয়ে ফেলেছেন পদ্মরাজন। তাঁর টায়ার মেরামতের একটি দোকান আছে। সেখান থেকে যে টাকা রোজগার হয়, সেটা দিয়েই ভোটে লড়েন তিনি।