উপনির্বাচন হোক সেপ্টেম্বরেই, করোনা তথ্য-সহ কমিশনে দরবার নাছোড় তৃণমূলের

আবেদন জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও যেন উপনির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।

উপনির্বাচন হোক সেপ্টেম্বরেই, করোনা তথ্য-সহ কমিশনে দরবার নাছোড় তৃণমূলের
দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে তৃণমূল
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 26, 2021 | 5:23 PM

নয়া দিল্লি: রাজ্যে দ্রুত উপনির্বাচন চেয়ে এখনও নাছোড়বান্দা তৃণমূল। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনে দরবার করা হয়। সৌগত রায়, মহুয়া মৈত্র-সহ তৃণমূলের এক প্রতিনিধিদল দিল্লি কমিশনের দফতরে গিয়ে যান। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি বিস্তারিত খতিয়ান, এবং সংশ্লিষ্ট ৭টি কেন্দ্রে সংক্রমণের বিশদ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় কমিশনে। সেই সঙ্গে আবেদন জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও যেন উপনির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।

বিজেপি যদিও গতকালই জানিয়ে দিয়েছে, এই মুহূর্তে উপনির্বাচন কোনও ভাবেই করা যাবে না। এই নিয়ে সবিস্তারে ৮টি কারণ উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠিও দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। যেখানে সংক্রমণের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে। এই নিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে এ দিন সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, বাংলায় হারার পর আসলে বিজেপির মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ঠিক কী, তার বিশদ রিপোর্ট আমরা কমিশনের কাছে জমা দিয়েছি। অন্যদিকে সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, এই মুহূর্তে করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই যত সত্ত্বর সম্ভব নির্বাচন করানোর বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত কমিশনের।

উল্লেখ্য, চলতি মাসেই উপনির্বাচনের বিষয়ে বিভিন্ন দলের মতামত জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই মতো এ দিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে দ্রুত উপনির্বাচন চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়। বিজেপি অবশ্য নিজেদের অবস্থান আগে থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে। বঙ্গ বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, ৮ টি কারণে এই মুহূর্তে উপনির্বাচন সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির সেই চিঠিই নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দিতে পারেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। যদিও সূত্রের খবর, তৃণমূল এ দিন কমিশনে আবেদন জানিয়েছে যেন সেপ্টেম্বরেই মধ্যেই উপনির্বাচনের আয়োজন করা হয়।

কিন্তু বিজেপি কী কী কারণে উপনির্বাচন হতে দিতে চাইছে না? রইল পদ্মশিবিরের ৮ যুক্তি…

১. রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি চলছে ২. রাজ্যে লোকাল ট্রেন বন্ধ, বাস চলছে কম লোক নিয়ে ৩. সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের মধ্যেই তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা রয়েছে ৪. অক্টোবর মাস হল পুজো এবং উৎসবের মাস ৫. পশ্চিমবঙ্গ সরকারই এখানে কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ লাগু করে রেখেছে। বিজেপিকে যে কোনও কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে ৬. দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, দেবশ্রী চৌধুরী-সহ শীর্ষ বিজেপি নেতাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করে ৭. করোনার দোহাই দিয়ে রাজ্য সরকার নিজেই ১২২টি পুরসভার নির্বাচন আটকে রেখেছে ৮. রাজ্যে যে সরকার চলছে, তার পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, ৭ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন না হলেও সরকারের কোনও সংকট নেই, সুতরাং উপনির্বাচন এখন অপরিহার্য নয়। আরও পড়ুন: রাজ্যের উপর ভরসা নেই কেন্দ্রের, সিবিআই অফিসারদের নিরাপত্তায় আধাসেনা দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক