TMC meeting with Minister: একগুচ্ছ অভিযোগ রাজ্যের, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন ১০ সাংসদ
TMC meeting with Minister: ১০০ দিনের কাজের টাকা বাকি আছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানাচ্ছে তৃণমূল তথা রাজ্য সরকার। এবার সেই দাবি নিয়েই কেন্দ্রের মুখোমুখি হবেন সাংসদরা।
নয়া দিল্লি : বারবার রাজ্য দাবি করেছে, কেন্দ্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চনা করছে। আর সম্প্রতি ১০০ দিনের কাজ নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্য। একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা দাবি করেছেন, সেই বকেয়া টাকার পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। টাকা পাচ্ছেন না কর্মীরা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে যখন এই ইস্যু আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, তখন সরাসরি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখোমুখি হতে চলেছেন তৃণমূল সাংসদরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর সঙ্গে দেখা করবেন ১০ সাংসদ।
গত মে মাসে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছিলেন পাঁচ মাস ধরে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। এই টাকা রাজ্যের প্রাপ্য বলে উল্লেখ করে মমতা জানিয়েছিলেন, টাকা না এলে প্রয়োজনে দিল্লি পর্যন্ত ছড়াবে আন্দোলন। অবশেষে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সময় পেল তৃণমূল। আগামী ১৬ জুন হবে সেই বৈঠক।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার আলোচনায় সম্মতি দিয়েছেন গিরিরাজ সিং। ১৬ জুন, বিকেল ৪ টের সময় দিল্লিতে কৃষি ভবনে বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন গিরিরাজ। মোট ১০ জন সাংসদ বৈঠকে থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, কল্যান বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাজদা আহমেদ, প্রতিমা মণ্ডল থাকবেন ওই বৈঠকে। এ ছাড়া রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়, দোলা সেন, জওহর সরকার, লুইজিন ফেলেরিও-ও উপস্থিত থাকবেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকেই ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। এই ইস্যুতে সম্প্রতি পথেও নামে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের একাধিক বিধানসভা কেন্দ্র, ব্লক ও পঞ্চায়েত এলাকায় গত রবিবার ও সোমবার পথে নেমেছিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। শুধু তাই নয়, কর্মীরা টাকা পাচ্ছেন না, এমন দাবি করে রাজ্য সরকার রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পে ওই কর্মীদের যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। জব কার্ড থাকলে ওই কর্মীদের যাতে অন্যান্য প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তবে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সুরাহা হবে বলে আশাবাদী রাজ্য।