TMC-Congress: নবান্নে কংগ্রেসের নাম উচ্চারিত না হলেও যৌথ বিবৃতিতে পাশেই তৃণমূল
TMC-Congress: আগামী রবিবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কট করার বার্তা দিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ১৯ টি বিরোধী দল। সেই তালিকায় কংগ্রেসের পাশেই জ্বলজ্বল করছে তৃণমূলের নাম।
নয়া দিল্লি: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনের আগে সব বিরোধিদের এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জোটে কংগ্রেস কতটা প্রাসঙ্গিক? বিভিন্ন সময় কংগ্রেসকে উহ্য রেখেই বিজেপি-বিরোধিতার কথা বলছেন মমতা। সম্প্রতি মমতা-কেজরীর যৌথ সাংবাদিক বৈঠকেও উচ্চারিত হয়নি কংগ্রেসের নাম। তবে এবার যৌথ প্রতিবাদে কংগ্রেসের সঙ্গেই সামিল হচ্ছে মমতার দল। কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চললে জাতীয় রাজনীতিতে অন্য বার্তা যেতে পারে? প্রশ্ন উঠতে পারে বিজেপির সঙ্গে সমীকরণ নিয়ে? বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইতে যে তৃণমূল সর্বাত্মকভাবে বিরোধী ঐক্যের পক্ষে সে কথাই তুলে ধরতেই এই পদক্ষেপ কি না, সেই প্রশ্নই তুলছে ওয়াকিবহাল মহল। আগামী রবিবার নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন বয়কট করার বার্তা দিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে ১৯ টি বিজেপি বিরোধী দল। সেই তালিকায় কংগ্রেসের পাশেই জ্বলজ্বল করছে তৃণমূলের নাম।
গত মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও কংগ্রেসের নাম নেননি কেউই। অতীতে কংগ্রেসের তরফে এই দুই দল সম্পর্কেই বারবার অভিযোগ করা হয়েছে যে এরা কংগ্রেসের বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে বিজেপির সুবিধা করে দিতে চায়। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসকে বিপদে ফেলতে তৃণমূল গোয়া, ত্রিপুরার মতো রাজ্য লড়েছিল বলেও দাবি করে কংগ্রেস শিবিরের একাংশ।
সম্প্রতি কর্নাটকে কংগ্রেসের জয়ের পর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিক্রিয়া দিলেও কংগ্রেসের নাম নেননি। সিদ্দারামাইয়ার শপথ অনুষ্ঠানে নিজে না গিয়ে পাঠিয়েছিলেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। আর কেজরীবাল? তিনি তো আমন্ত্রিতই ছিলেন না।
কিন্তু যে কংগ্রেস এককভাবে বা জোটে সাত রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে, তাদের এড়িয়ে চলার অর্থ কী? এভাবে এড়িয়ে চললে তৃণমূলের কপালে বিজেপির বি টিমের তকমা জুটতে পারে, এমনটাও মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাই কি এবার কংগ্রেস নিয়ে সতর্ক অবস্থান তৃণমূলের? যাতে বিরোধী ঐক্য ভাঙার দায় সরাসরি এসে না ঘাড়ে পরে, তাই কি এবার কংগ্রেসের পাশে ঘাসফুল শিবির?
জোটের সম্ভাবনার কথা না মানলেও, একেবারে অস্বীকারও করেননি তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “কংগ্রেস জোটে থাকবে কি না, এটা এখনই বলা যায় না। ভোটের তো এখন অনেক দেরি।” আর নবান্নের বৈঠকে কংগ্রেসের নাম না তোলার প্রশ্নে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তো সরাসরি হাতিয়ার করছেন সংসদ ভবন বয়কটের যৌথ বিবৃতিকে। তাঁর দাবি, বৈঠক হয়েছে অন্য প্রেক্ষিতে। সেখানে নাম নেওয়া হয়নি তো কী? আন্দোলনে তো কংগ্রেসের পাশেই আছে তৃণমূল।