‘কুম্ভমেলাকে সুপার স্প্রেডারের তকমা দেওয়া ভুল’, আক্রান্তের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ব্যাখ্যা আধিকারিকদের

কুম্ভমেলার নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের আইজি সঞ্জয় গুঞ্জল জানান, আনুষ্ঠানিক ভাবে কুম্ভমেলা ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু ততদিনে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার মতো রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল।

'কুম্ভমেলাকে সুপার স্প্রেডারের তকমা দেওয়া ভুল', আক্রান্তের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ব্যাখ্যা আধিকারিকদের
মেলা চলাকালীন হর-কি-পৌরি ঘাটের চিত্র। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: May 30, 2021 | 9:12 AM

দেহরাদুন: কুম্ভমেলা (Kumbh Mela)-কে করোনার “সুপার স্প্রেডার”(Super Spreader)-র তকমা দেওয়া উচিত নয়, এমনটাই মত কুম্ভমেলার ভারপ্রাপ্ত এক আধিকারিকের। তাঁর যুক্তি, জানুয়ারি থেকে কুম্ভমেলা শেষ হওয়া অবধি যত সংখ্যক করোনা পরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে মাত্র ০.২ শতাংশ রিপোর্টই পজেটিভ এসেছে। মেলার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসারদের মধ্যেও কেবল ০.৫ শতাংশই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুতরাং কুম্ভমেলাকে করোনার সুপার স্প্রেডার বলা যায় না।

কুম্ভমেলার নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের আইজি সঞ্জয় গুঞ্জল জানান, আনুষ্ঠানিক ভাবে কুম্ভমেলা ১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু ততদিনে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানার মতো রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল। যদি বৈজ্ঞানিকভাবেও সংক্রমণের বিশ্লেষণ করা হয়, সেখানেও দেখা যাবে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল অর্থাৎ কুম্ভমেলা শেষ হওয়া অবধি আক্রান্তের সংখ্যা দেখা যায়, স্পষ্টতই বোঝা যাবে যে কুম্ভমেলাকে সুপার স্প্রেডারের তকমা দেওয়া সঠিক নয়।

আইজির ব্যাখ্যার সূত্র ধরেই আরেক আধিকারিক জানান, ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল অবধি হরিদ্বারে মোট ৮.৯১ লাখ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা হয়েছে, তারমধ্যে কেবল ১ হাজার ৯৫৪ জনের রিপোর্টই পজেটিভ এসেছে। তিনি আরও জানান, কুম্ভমেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে মোট ১৬ হাজার পুলিশকর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তারমধ্যে মাত্র ৮৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এত ভিড় সামলেও যদি পুলিশকর্মীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা কেবল ০.৫ শতাংশ হয়, তবে কেন কুম্ভমেলাকেই দেশে করোনা সংক্রমণের জন্য দায়ী করা হচ্ছে , তা জানতে চান ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা।

গত ১ এপ্রিল থেকে কুম্ভ মেলা শুরু হওয়ার পরই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিভিন্ন রাজ্যের তরফে কুম্ভ ফেরত দর্শনার্থীদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার নিয়মও চালু করা হয়। তবে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়েই একাধিক সংঘ ও আখড়ার প্রধানরা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় মেলা প্রাঙ্গণ ছেড়ে ফিরতে শুরু করেন অনেক সাধু সন্তরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ১৭ এপ্রিল কুম্ভে আগত সকল দর্শনার্থীকে করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রতীকী স্নানের আবেদন জানান।

কুম্ভমেলা আয়োজকদের তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের মধ্যে তিনটি শাহী স্নানের তিথিতে মোট ৩৪.৭৬ লক্ষ মানুষ পুণ্য স্নান করেছেন।

আরও পড়ুন: ক্লার্কের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩ কোটিরও বেশি নগদ ও সোনা! সরকারি দফতরে ঘুষচক্রের হদিস পেল সিবিআই