Tripura violence: ভোটমুখী ত্রিপুরায় আক্রান্ত বিরোধীরা, দর্শক পুলিশ; কড়া ব্যবস্থা নিল নির্বাচন কমিশন
Tripura Assembly Election 2023: গত ১৮ জানুয়ারি পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জিরানিয়ায় কংগ্রেসের এক বাইক মিছিলের উপর হামলা চালিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। সেই প্রেক্ষিতে কড়া ব্যবস্থা নিল কমিশন।
আগরতলা: বিধানসভা নির্বাচন আসতেই রাজনৈতিক হিংসা উত্তপ্ত ত্রিপুরা (Tripura Assembly Election 2023)। গত ১৮ জানুয়ারি পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জিরানিয়ায় কংগ্রেসের এক বাইক মিছিলের উপর হামলা চালিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। আহত হয়েছিলেন অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির ত্রিপুরার ইনচার্জ অজয় কুমার। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) কমিশন জানিয়েছে, পুলিশ সময়মতো ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। যে পুলিশ অফিসাররা কর্তব্য পালন করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। কমিশনের স্পষ্ট বার্তা, ত্রিপুরার ভোটে অশান্তি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। মহকুমা স্তরের এক পুলিশ কর্তাকে অবিলম্বে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার পাশাপাশি, দুই থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাদের অপসারণের আদেশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার, এই ঘটনা নিয়ে এআইসিসি নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল। তারপরই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ত্রিপুরার মুখ্য সচিব এবং পুলিশের ডিজির কাছে ব্যাখ্য়া চেয়েছিল কমিশন। রাজ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিএপিএফ কর্মী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও, কেন হিংসা হচ্ছে তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। এদিন, কমিশনের পক্ষ থেকে জিরানিয়ার এসডিপিওকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। একইসঙ্গে, জিরানিয়া এবং রানী বাজার থানার ওসিকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, যে সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তাজনিত হুমকি রয়েছে তাদের যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিতে হবে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশন বলেছে, “সমস্ত রাজনৈতিক দল যাতে নির্বাচনে সমান সুযোগ সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করতে, পক্ষপাতদুষ্ট কর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিএস এবং ডিজিপিকে।” রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কোন কোন নেতার হুমকি রয়েছে, অবিলম্বে তার মূল্যায়ন করার এবং হুমকি অনুসারে সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তিনজন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। যোগেন্দ্র ত্রিপাঠি, বিবেক জোহরি এবং বি মুরলি কুমারকে অবিলম্বে ত্রিপুরায় যেতে বলা হয়েছে।