আপাতভাবে বন্ধ ৪৫ উর্ধ্বদের টিকাকরণ, ১৮ উর্ধ্বদের বিনামূল্যে টিকাকরণ শুরু ত্রিপুরায়

মজুত ভ্যাকসিনের পরিমাণ কম, সেই কারণে একসঙ্গে সব বয়সীদের টিকাকরণ চালানো সম্ভব নয়। আপাতত ৪৫ উর্ধ্বদের টিকাকরণ আগামী ১৬ মে অবধি বন্ধ রেখে আপাতত ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আপাতভাবে বন্ধ ৪৫ উর্ধ্বদের টিকাকরণ, ১৮ উর্ধ্বদের বিনামূল্যে টিকাকরণ শুরু ত্রিপুরায়
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 13, 2021 | 3:13 PM

আগরতলা: দেরীতে হলেও অবশেষে তৃতীয় দফার টিকাকরণ শুরু হচ্ছে ত্রিপুরায়। বুধবার আচমকাই রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয় যে, আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হবে।

সরকারি মুখপাত্র তথা শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ১৫ হাজার ১৫০টি কোভ্যাক্সিনের ডোজ় এসে পৌঁছেছে। রাজ্যের তরফে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী চার লাখ ব্যক্তির রেজিস্ট্রেশন পাঠানো হয়েছে গণটিকাকরণের জন্য। এছাড়াও তিনি জানান যে, এই টিকা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এরজন্য রাজ্যের বাজেট থেকে ১৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে।

তিনি জানান, যেহেতু মজুত ভ্যাকসিনের পরিমাণ কম, সেই কারণে একসঙ্গে সব বয়সীদের টিকাকরণ চালানো সম্ভব নয়। আপাতত ৪৫ উর্ধ্বদের টিকাকরণ আগামী ১৬ মে অবধি বন্ধ রেখে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রতন লাল আরও জানান, ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্যতা পাবে রিক্সা ও অটো চালক, সাংবাদিক, ত্রিপুরা হাইকোর্টের কর্মী, বিদ্যুৎ, খাদ্য , ব্যাঙ্ককর্মীরা। এছাড়াও ২২০টি অতিরিক্ত ডোজ় দেওয়া হবে তৃতীয় দফায় নাম নথিভুক্ত করেছেন, এমন ব্যক্তিদের। তিনি বলেন, “আমরা আগেই সকলের জন্য বিনামূল্যে টিকাকরণের ঘোষণা করেছি। কিন্তু পরবর্তী ডোজ় কবে সরবরাহ হবে,, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় টিকাকরণের সঠিক দিন ধার্য করা যাচ্ছে না। তবে কেন্দ্রের তরফে যথাসম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে এই ঘাটতি মেটানোর জন্য।”

অন্যদিকে, ১০ শতাংশ পজেটিভ হার অতিক্রম করায় পশ্চি ত্রিপুরা প্রশাসনের তরফে ৫, ২১ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডকে আগামী ২২ মার্চ অবধি কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসাবে ঘোষণা করেছে। বর্তমানে ত্রিপুরায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩২০৪। এখনও অবধি মোট ৪২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, সম্প্রতি কোভিড কেয়ার সেন্টার থেকে একাধিক রোগীর পালিয়ে যাওয়ায় সংক্রমণের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও পড়ুন: আইভারমেকটিন প্রয়োগে ‘না’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার, সস্তার ওষুধ বলেই কি আপত্তি?