Lioness Name Controversy: সিংহীর নাম কেন ‘সীতা’? বিতর্কের আবহেই সাসপেন্ড ত্রিপুরার বনকর্তা
Tripura Forest Office Suspended: সিংহীর নাম বিতর্কের জেরে শনিবারই বন বিভাগের ওই কর্তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে ত্রিপুরা সরকার। সূত্রের খবর, ওই সিংহ দম্পতিকে যখন ত্রিপুরার বাইরে পাঠানো হচ্ছিল, তখন ডিসপ্যাচ রেজিস্টারে সিংহের নাম ছিল 'আকবর' ও সিংহীর নাম ছিল 'সীতা'। জানা যাচ্ছে, যে সময়ে এটি ঘটেছিল, তখন ত্রিপুরার চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন প্রবীণলাল আগরওয়াল।
আগরতলা: সিংহীর নামকরণ ‘সীতা’ করা নিয়ে বিতর্কের জের। এবার সাসপেন্ড করা হল ত্রিপুরার প্রিন্সিপাল চিফ কনজারভেটর অব ফরেস্টস (ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড ইকো ট্যুরিজ়ম) প্রবীণলাল আগরওয়ালকে। সিংহীর নাম বিতর্কের জেরে শনিবারই বন বিভাগের ওই কর্তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে ত্রিপুরা সরকার। সূত্রের খবর, ওই সিংহ দম্পতিকে যখন ত্রিপুরার বাইরে পাঠানো হচ্ছিল, তখন ডিসপ্যাচ রেজিস্টারে সিংহের নাম ছিল ‘আকবর’ ও সিংহীর নাম ছিল ‘সীতা’। জানা যাচ্ছে, যে সময়ে এটি ঘটেছিল, তখন ত্রিপুরার চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন প্রবীণলাল আগরওয়াল।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা থেকে বাংলায় আনা ওই সিংহ দম্পতির নাম ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। ত্রিপুরার বিশালগড়ের সিপাহিজালা জুওলজিকাল পার্ক থেকে তাদের আনা হয়েছিল। এরপর বাংলায় আনার পর তাদের রাখা হয়েছিল বেঙ্গল সাফারি পার্কে। সিংহীর নাম কেন ‘সীতা’ রাখা হয়েছে, সেই নিয়ে মামলা গড়ায় আদালতে। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। কোনও দেবদেবীর নামে এভাবে সিংহের নামকরণ করা যায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্নও তুলেছিল আদালত।
মামলার শুনানিতে আদালত থেকে বেঙ্গল সাফার্টি কর্তৃপক্ষের তরফে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল এবং সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমাও পড়েছে হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে। রাজ্যের তরফে অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়জিৎ চৌধুরী আদালতে জানান, ওই সিংহীর নামকরণ ত্রিপুরা থেকেই করা হয়েছিল। বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষ ওই নামকরণ করেনি। একইসঙ্গে অবশ্য তারা এও জানিয়েছিল, রাজ্যের তরফে সিংহ ও সিংহীর নাম পরিবর্তন করে দেওয়া হবে। আদালতও মৌখিকভাবে সেই নির্দেশই দিয়েছিল।