১৮ উর্ধ্বদের টিকাকরণে প্রয়োজন কত ভ্যাকসিন? কবে টিকা দেবে সেরাম? রাজ্যবাসীর যাবতীয় সংশয় দূর করলেন স্বাস্থ্যকর্তা
ডঃ জয়সওয়াল জানান, ইতিমধ্যেই সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছে ১৬ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ় অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
আগরতলা: গোটা রাজ্যের ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী সমস্ত বাসিন্দাদের টিকাকরণ করতে গেলে প্রয়োজন প্রায় ৩২ লক্ষ ভ্যাকসিন, এ দিন এ কথা জানালেন জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য সভাপতি শিব জয়সওয়াল।
আগামী ১ মে থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে তৃতীয় দফার করোনা টিকাকরণ। এই দফায় করোনা টিকা পাবেন ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী ব্যক্তিরাও। টিকাকরণ নিয়ে রাজ্যের প্রস্তুতি জানাতে এ দিন সাংবাদিক বৈঠক করে ডঃ জয়সওয়াল জানান, ইতিমধ্যেই সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছে ১৬ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ় অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী সমস্ত ব্যক্তিকে টিকা দিতে গেলে রজ্যের প্রয়োজন ৩২ লাখ ভ্যাকসিনের ডোজ়।
টিকা কবে আসবে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা কোভিশিল্ডের ১৬ লাখ ডোজ় অর্ডার করেছি। সেরাম ইন্সটিটিউটের কাছে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি যে ১ মে-র মধ্যে কমপক্ষে ৮ লাখ টিকা যেন পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং আগামী ১৫ মে-র মধ্যে বাকি ৮ লাখ টিকা পাঠানো হয়। তবে তারা উৎপাদনের ঘাটতি দেখিয়ে জানিয়েছেন যে কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন দিতে কমপক্ষে ২০ দিন সময় লাগবেই।”
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তথ্য অনুয়ায়ী, ত্রিপুরায় এখনও অবধি মোট ১১ লাখ ৪০ হাজার ৬৭৪ টি ভ্যাকসিনের ডোজ় প্রয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম ডোজ় পেয়েছেন ৮ লক্ষ ৬৬ হাজার ৪৭২ জন ও দুটি ডোজ়ই পেয়েছেন ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ২০২ জন।
চলতি সপ্তাহেই ত্রিপুরা সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন না থাকায় ১ মে থেকে টিকাকরণ কর্মসূচির তৃতীয় ধাপ শুরু করা সম্ভব নয়। এ দিন সে কথাই ফের একবার পরোক্ষে জানানো হল।
আরও পড়ুন: কোভিড সঙ্কটে কেন্দ্রকে একের পর এক চোখা প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের