AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রাজ্য ও কেন্দ্রের টিকার দামে ফারাক কেন, কোভিড সঙ্কটে কেন্দ্রকে একের পর এক চোখা প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

COVID-19: শুনানির শুরুতেই বিচারপতি জানতে চান, ভ্যাকসিনের দামের এত তারতম্য কেন?

রাজ্য ও কেন্দ্রের টিকার দামে ফারাক কেন, কোভিড সঙ্কটে কেন্দ্রকে একের পর এক চোখা প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল চিত্র
| Updated on: Apr 30, 2021 | 2:50 PM
Share

নয়া দিল্লি: কোভিড (COVID-19) সঙ্কট পরিস্থিতিতে চূড়ান্ত অব্যবস্থা সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের একাধিক চোখা প্রশ্নের মুখে পড়তে হল কেন্দ্রকে। শুক্রবার শুনানি চলাকালীন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ভ্যাকসিনের দামের তারতম্য থেকে কো-উইনের ব্যবহার, দিল্লিতে ওষুধের ঘাটতি, অক্সিজেন সরবরাহ, সোশ্যাল মিডিয়ার উপর কঠোরতা-সহ একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেন।

এই মামলা স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই দায়ের করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। শুনানির শুরুতেই বিচারপতি জানতে চান, রাজ্য ও কেন্দ্রের ভ্যাকসিনের দামের এত তারতম্য কেন? বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, আমেরিকার মানুষের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনিকা অনেক কম দামে টিকা দিচ্ছে। তা হলে ভারত কেন এত টাকা দেবে? একইসঙ্গে বিচারপতির প্রশ্ন, যাঁরা পুঁথিগতভাবে শিক্ষিত নন, কো-উইন অ্যাপ ব্যবহারে স্বচ্ছন্দ্য নন, তাঁরা কী ভাবে টিকা পেতে আবেদন করবেন? কারণ, কো-উইন বা আরোগ্য সেতুতে নাম নথিভুক্ত না করলে টিকা পাওয়া সম্ভব নয় বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে এমন স্বচ্ছতা থাকা দরকার, যেখানে সাধারণ মানুষ জানতে পারেন কতটা অক্সিজেন সরবরাহ হচ্ছে, কোন হাসপাতালে কতটা অক্সিজেন রয়েছে। একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় কঠোরতা নিয়েও এদিন সুপ্রিম কোর্ট নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে। বিচারপতি বলেন, যদি কোনও নাগরিক সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কোনও অভিযোগ ব্যক্ত করেন, তা অন্যায় বলে দাগিয়ে দেওয়া যাবে না। তেমনটা হলে তা আদালত অবমাননার সমান হবে। আদালত এর জন্য ব্যবস্থাও নেবে।

আরও পড়ুন: করোনা রোগীদের ফলের রস খাওয়াচ্ছেন এবিভিপি কর্মীরা, ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই বিতর্কে দুন মেডিক্যাল কলেজ

আদালত জানিয়েছে, অনেক সংবাদমাধ্যম মারফৎ তারা জানতে পেরেছে প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি রয়েছে। দিল্লি হাইকোর্টও এই পর্যবেক্ষণ করেছে। রেমডেসিভির ইনজেকশনের ঘাটতি রয়েছে। গত বছর মহারাষ্ট্র সরকার প্রয়োজনীয় ওষুধ বাংলাদেশ থেকে আনিয়েছিল। ঝাড়খন্ড সরকারও বাংলাদেশ থেকে ৫০০০০ রেমডেসিভির ইনজেকশন কিনেছিল। একইসঙ্গে আদালত প্রশ্ন তোলে, বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার নতুন মিউট্যান্ট আরটিপিসিআর পরীক্ষায় ধরা পড়ছে না। তাহলে সরকার এই ধরনের রোগীদের শনাক্ত করতে কী করছে?

এর আগে নাগপুরে একটি মামলা হয়েছিল। যেখানে করোনার রোগী অ্যাম্বুলেন্সে না আসায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট বলে, দেশে অ্যাম্বুলেন্সের ঘাটতি রয়েছে। এর জন্য সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে? বিভিন্ন রাজ্যের সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ব্যক্তি যদি অক্সিজেনের অভাব বা হাসপাতাল পরিষেবার কোনও ঘাটতির ছবি তুলে ধরে কোনও আবেদন করেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ভাবেই পুলিশ বা সে রাজ্যের সরকার ব্যবস্থা নিতে পারবে না। তেমনটা হলে আদালত অবমাননা হিসাবে তা ধরে নেওয়া হবে।