বিজেপি-সিপিএম সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা, টুইটে ক্ষোভ উগরে তোপ অভিষেকের

BJP CPIM Clash Tripura: তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোচ্চার হয়েছেন খোদ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপি-সিপিএম সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা, টুইটে ক্ষোভ উগরে তোপ অভিষেকের
বিজেপি-সিপিএম সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল ত্রিপুরা। ছবি-PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2021 | 11:00 PM

আগরতলা: সিপিএম বনাম বিজেপি সংঘর্ষে এ বার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল ত্রিপুরা (Tripura)। সিপিএম (CPIM) কর্মীদের বাড়ি-কার্যালয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপি (BJP) কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। একাধিক হামলার ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে বিশালগঢ়-উদয়পুর এলাকা। দিনকয়েক আগেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ধনপুরেও ঢুকতে বাধা পেয়েছিলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। সেবারও সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছিল মানিকবাবুর বিধানসভা কেন্দ্র। এ বার নতুন করে উত্তাপ ছড়াল বুধবারের ঘটনায়। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোচ্চার হয়েছেন খোদ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, বুধবার বিশালগঢ়-উদয়পুর এলাকা সিপিএমের একাধিক দফতর ও কার্যালয়ে হামলা চালানোর পাশাপাশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটানো হয়। অভিযোগের তির ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। এখানেই শেষ নয়। সিপিএম অফিসের পাশাপাশি একাধিক গাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বাম কর্মী-সমর্থকদের দাবি, আগরতলা মেলার মাঠ এলাকায় থাকা সিপিএম কার্যালয়েও আগুন লাগিয়ে দেয় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও এই নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব পালটা দাবি করেন, এটা আসলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

তবে এই ঘটনার সূত্রপাত হয় দুদিন আগেই। সোমবার ধনপুর এলাকায় যখন মানিক সরকার ঢুকতে যাচ্ছিলেন তখন তাঁর কনভয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এরপরই আগ্রাসী মেজাজ ধারণ করে এলাকার সিপিএম কর্মীরা। যা নিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে ধিক্কার মিছিল বের করা হয়। সেই ধিক্কার মিছিল চলাকালীনই এ দিন ত্রিপুরার বেশ কিছু এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। অগ্নিসংযোগ করা হয় একাধিক সিপিএম কার্যালয় এবং সংবাদ মাধ্যমের গাড়িতে।

প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার পর তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু বুধবার রাত নাগাদ ঘটনার নিন্দা করে টুইটে সরব হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক টুইট করে লেখেন, হিংসা এবং গুণ্ডামি এমনভাবে বিজেপির মজ্জাগত যে তারা গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভকেও নৃশংসভাবে আক্রমণ করতে ছাড়ছে না। টুইটে সিপিএমের নাম উল্লেখ না করলেও মিডিয়ার উপর আক্রমণের নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য, যে সময় ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থন এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটে, সেই সময় খোদ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও এই নিয়ে সরব হন। কিন্তু আজকের টুইটে অভিষেক কোথাও সিপিএমের নাম নেননি।

আরও পড়ুন: বাংলার ৬১ বিজেপি বিধায়কের নিরাপত্তা ফিরিয়ে নিল কেন্দ্র, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি এল নবান্নে