গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত ৩, নিখোঁজ যুবককে ঘিরে শুরু শাসক-বিরোধী দলের তরজা

মঙ্গলবারই ত্রিপুরা পিপলস পার্টির সদস্যরা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে এবং পরে পুলিশের ডিজি ভি এস যাদবের সঙ্গে দেখা করেন। দলের যুগ্ম সচিব প্রবীণ সিনহা জানান, যাঁদের পিটিয়ে মারা হয়েছে, তাঁরা সকলেই দিনমজুর ছিলেন। এদের মধ্যে একজনের খোঁজ মিলছে না।

গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত ৩, নিখোঁজ যুবককে ঘিরে শুরু শাসক-বিরোধী দলের তরজা
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 24, 2021 | 3:47 PM

আগরতলা: গরু চোর সন্দেহে তিন যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত ত্রিপুরার রাজ্য রাজনীতি। ত্রিপুরা পিপলস পার্টির অভিযোগ, মঙ্গলবার গরু চোর সন্দেহে তিনজন নয়, বরং চারজনকে মারধর করা হয়েছিল। তিন যুবকের মৃত্যু হলেও চতু্র্থ ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ।

ঘটনার সূত্রপাত হয় ২২ জুন। মঙ্গলবার রাতে সিপাহিজলা জেলায় চার যুবককে গরু চোর সন্দেহে মারধর করে গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলেই জায়েদ হোসেন (৩০), বিলাল মিঞা (২৮) ও সইফুল ইসলাম (১৮)-র মৃত্যু হয়। খোয়াই জেলার এক পুলিশ অফিসার জানান, নিখোঁজ চতুর্থ ব্যক্তির খোঁজ করা হচ্ছে। বিরোধী দলগুলির তরফে মৃত যুবকদের দিনমজুর বলে দাবি করা হলেও পুলিশের মত, তাঁরা এর আগেও এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং কয়েক মাস আগেই পুলিশের উপর আক্রমণও করার চেষ্টা করে।

মঙ্গলবারই ত্রিপুরা পিপলস পার্টির সদস্যরা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে এবং পরে পুলিশের ডিজি ভি এস যাদবের সঙ্গে দেখা করেন। দলের যুগ্ম সচিব প্রবীণ সিনহা জানান, যাঁদের পিটিয়ে মারা হয়েছে, তাঁরা সকলেই দিনমজুর ছিলেন। এদের মধ্যে একজনের খোঁজ মিলছে না। অন্যদিকে, তিপরা দলের প্রধান প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য দেববর্মা এই ঘটনাকে “জনসমক্ষে খুন” বলেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও ঘটনার সমালোচনা করে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানান।

এ দিকে, বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে বিজেপির মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “ওরা (সিপিআইএম) গণপিটুনির কথা বলছে। পশ্চিমবঙ্গে জ্যোতি বসুর শাসনকালে যে হাজারো মানুষকে খুন করা হয়েছিল। এমনকি মানিক সরকারের সময়কালেও এইধরনের বহু ঘটনা ঘটেছিল। মানিক সরকারের উচিত নিজের শাসনকালে এই ঘটনাগুলির ব্যাখ্যা দেওয়া। সিপিআইএম সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। আমরা গোটা ঘটনার সমালোচনা করছি এবং অভিযুক্তদের খোঁজ করছি।”

আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: করোনা কাঁটায় নির্বাচন না হলে প্রশ্নের মুখে মমতার মুখ্যমন্ত্রিত্ব! কী বলছে আইন?