Tripura Palace: ত্রিপুরা প্যালেসে তৈরি হবে জাদুঘর, থাকবে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন নথি

Tripura: পুষ্পবন্ত প্রাসাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিদর্শন সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিপত্র এবং তাঁর কিছু কিছু কাজের অংশ প্রস্তাবিত এই জাদুঘরে প্রদর্শিত হবে বলে জানা গিয়েছে।

Tripura Palace: ত্রিপুরা প্যালেসে তৈরি হবে জাদুঘর, থাকবে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত বিভিন্ন নথি
ত্রিপুরার প্রাসাদে দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোঁয়া
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 31, 2022 | 4:44 PM

আগরতলা: ত্রিপুরার প্রাক্তন মহারাজার তৈরি শতাব্দী প্রাচীন পুষ্পবন্ত প্রাসাদটি একটি জাতীয়-স্তরের জাদুঘরে পরিণত করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে তোলা হচ্ছে। ত্রিপুরার রাজধানী শহর আগরতলার একটি ছোট পাহাড়ের উপর ১৯১৭ সালে মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য এটি তৈরি করেছিলেন। তিনি নিজেও একজন চিত্রশিল্পী ছিলেন। মনোরম এই প্রাসাদোপম বাড়িটিকে একটি স্টুডিও হিসাবে ব্যবহার করতেন তিনি। মাণিক্য রাজাদের অতিথিশালা হিসেবেও এটিকে ব্যবহার করা হত। ত্রিপুরার এই রাজ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। সাতবার ত্রিপুরা সফরে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯২৬ সালে শেষবার ত্রিপুরা সফরের সময় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন এই পুষ্পবন্ত প্রাসাদেই।

পুষ্পবন্ত প্রাসাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিদর্শন সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিপত্র এবং তাঁর কিছু কিছু কাজের অংশ প্রস্তাবিত এই জাদুঘরে প্রদর্শিত হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত ১৯৪৯ সালে ত্রিপুরা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর ৪.৩১ একর জমির উপর তৈরি প্রাসাদটিকে মুখ্য কমিশনারের বাংলোতে রূপান্তরিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে এটি রাজভবনে রূপান্তরিত হয়। ২০১৮ সালে রাজভবন নতুন বিল্ডিং-এ স্থানান্তরিত হয়। ত্রিপুরার পর্যটন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিনহা রায় জানিয়েছেন, মহারাজা বীরেন্দ্র কিশোর মাণিক্য যাদুঘর ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহ্যবাহী এই প্রাসাদের সংস্কারের জন্য ৪০ কোটি ১৩ লাখ টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এটি জাদুঘরে ত্রিপুরার ঐতিহ্য, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয়রা চারুকলা এবং সমসাময়িক ফটোগ্রাফি সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন আর্কাইভ প্রদর্শন করা হবে।

ত্রিপুরার পর্যটন মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “এই জাদুঘর সম্পূর্ণরূপে জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত এবং সিসিটিভি নজরদারির মধ্যে থাকবে। রিয়েলিস্টিক ডিজিটাল এক্সপিরিয়েন্সও পাওয়া যাবে এই জাদুঘরে, যা দেশের কয়েকটি জাদুঘরের মধ্যে একটি। আমাদের সরকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং ত্রিপুরার রাজবংশের বিশাল অবদান সংরক্ষণ করে রাখার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”ত্রিপুরা পর্যটন বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার উত্তম পাল জানিয়েছেন, প্রাসাদের সমানের দিকে নিও ক্লাসিক্যাল প্রভাবের পাশাপাশি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতার প্রভাবও রয়েছে। তিনতলা ওই প্রাসাদটির একতলাটি তৈরি হয়েছে ১ হাজার ১১৪ বর্গমিটার জায়গা নিয়ে। দ্বিতীয় তলটি তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম জায়গা নিয়ে, মাত্র ১৫৯.২৫ বর্গ মিটার।