Tripura TMC: কোভিড গেরো, ত্রিপুরা পুলিশের হাতে আটক প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী

TMC: আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের তৃণমূল ব্লক সভাপতি লিয়ুস কুজুর সহ ৩ জনের পরীক্ষায় কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে। তাঁদেরও আটকে রাখা হয়েছে বলে খবর।

Tripura TMC: কোভিড গেরো, ত্রিপুরা পুলিশের হাতে আটক প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী
ত্রিপুরায় ধরনা তৃণমূল নেতাদের। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2021 | 11:07 PM

আলিপুরদুয়ার: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসভায় যোগ দিতে গিয়ে ত্রিপুরা পুলিশের ( Tripura Police) হাতে আটক হলেন আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন তৃণমুল বিধায়ক (TMC MLA) সৌরভ চক্রবর্তী (Sourav Chakraborty)। তৃণমূল সূত্রের খবর, তাঁদের কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার দুটি সার্টিফিকেট দেখানোর পরেও সৌরভ চক্রবর্তীদের আটকে রাখা হয়েছে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, কোভিড রিপোর্ট দেখানো সত্ত্বেও তৃণমূলের কয়েকজন নেতাকে ত্রিপুরায় প্রবেশে বাধাদান করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে ধরনায় বসেছিলেন তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী। এর পর পুলিশ তাঁকে আটক করে বলে খবর। আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের তৃণমূল ব্লক সভাপতি লিয়ুস কুজুর সহ ৩ জনের পরীক্ষায় কোভিড পজিটিভ ধরা পড়েছে। তাঁদেরও আটকে রাখা হয়েছে বলে খবর।

প্রসঙ্গত, রবিবার ফের  ত্রিপুরায় পা রাখছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের সেই ত্রিপুরা যাত্রা আগে একের পর এক জটিলতা। অবশেষে ত্রিপুরায় সভা করার অনুমতি দিয়েছে সেখানকার পুলিশ। তবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ শর্ত। জানানো হয়েছে সেই একগুচ্ছ শর্ত পূরণ হলে তবেই সভা করা যাবে।

পুলিশের তরফে যে যে শর্তগুলি রাখা হয়েছে, তার মধ্যে প্রথমেই বলা হয়েছে, সভাকে ঘিরে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে সভা করতে হবে। সভার জন্য যে স্থান, সময়, এবং যে পথে সভাস্থলে যাওয়ার কথা, তা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। যাঁরা সভায় যোগ দিতে যাবেন, অর্থাৎ, তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকদের জন্য যাতে কোনওভাবেই রাস্তায় যানজট তৈরি না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এর দায়িত্ব তৃণমূল নেতৃত্বের। তার জন্য তৃণমূলকে রাস্তায় পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নামাতে হবে।

সভাস্থলে যাওয়ার সময়, তৃণমূলের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের মোটর ভেকলস আইন মেনে চলতে হবে। গাড়ির ছাদে বসে সভাস্থলে যাওয়া যাবে না। কোনও কর্মী, সমর্থক যাতে লাঠি, ছুড়ি, দা, মশাল বা অন্য কোনও অস্ত্র নিয়ে সভাস্থলের উদ্দেশে না রওনা দেয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব তৃণমূল নেতৃত্বের। এর পাশাপাশি, হাসপাতাল, নার্সিং হোম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠীন, আদালত কিংবা ধর্মীয় স্থানগুলির সামনে দিয়ে মিছিল করে যাওয়ার সময় কোনও স্লোগান দেওয়া যাবে না। মিছিল থেকে বা সভা থেকে এমন কোনওরকম উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশকে নষ্ট করে। এমন কোনও গানও চালানো যাবে না।

পুলিশের পাঠানো ওই শর্তাবলীর তালিকায় আরও বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে থেকে লাউড স্পিকারের যে গাইডলাইন বেধে দেওয়া হয়েছে, তা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। লাউড স্পিকারের শব্দ যেন কোনওভাবেই লাগামছাড়া না হয়। রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত কোনওরকম মাইক, লাউড স্পিকার ব্যবহার করা যাবে না।

আরও বলা হয়েছে, পুলিশ চাইলে সভার উদ্যোক্তাদের থেকে অনুমতিপত্র দেখতে চাইতে পারে। এমনটা হলে, সেই অনুমতিপত্র অবশ্যই দেখাতে হবে পুলিশকে। সভার অত্যন্ত দুই কর্মদিবস আগে তাঁদের সভার জন্য অনুমতি চাইতে হবে। সভার অনুমতি চেয়ে আবেদনপত্রে যে সংখ্যক কর্মী, সমর্থকের উপস্থিতির কথা বলা হবে, তার থেকে বেশি লোকের উপস্থিতি যেন কোনওভাবেই না থাকে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যে খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে সৌরভকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তিনি বাকিদের মুক্তির দাবিতে ধরনা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: TMC Tripura: আগরতলায় রবীন্দ্র ভবনের সামনে মোতায়েন বিশাল পুলিশ, সভামঞ্চ আগলে রাখতে মরিয়া তৃণমূল