Tussle in Punjab Congress: ব্রাত্য সিধু, কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের কর্তারপুর করিডর সফর ঘিরে নয়া বিতর্ক

Navjot Singh Sidhu Left out from Congress delegation: কর্তারপুর করিডর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রতিনিধি দল। কিন্তু সেই দলে ছিলেন না পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুই।

Tussle in Punjab Congress: ব্রাত্য সিধু, কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের কর্তারপুর করিডর সফর ঘিরে নয়া বিতর্ক
পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2021 | 3:39 PM

চণ্ডীগঢ়: গুরুনানক জয়ন্তীর আগেই খোলা হয়েছে কর্তারপুর সাহিব করিডর (Kartarpur Sahib Corridor)। সেই করিডর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন কংগ্রেস প্রতিনিধি দল (Congress Delegation Team)। কিন্তু সেই দলে ছিলেন না পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু(Navjot Singh Sidhu)-ই। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।

কর্তারপুর করিডর খোলার ঘোষণার পরই কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি (Charanjit Singh Channi)। একইসঙ্গে জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল নিয়ে তিনি নিজেই কর্তারপুর সাহিব করিডরে যাবেন। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার, ১৮ নভেম্বর যাওয়ার অনুমতিও নেওয়া হয়। একাধিক কংগ্রেস বিধায়ক সেই দলে থাকলেও নাম বাদ পড়ে নভজ্যোত সিং সিধুর।

এরপরই গতকাল সিধুর পরামর্শদাতা সুরেন্দ্র দালাল জানান, আগামী ২০ নভেম্বর নভজ্যেত সিং সিধু কর্তারপুর সাহিব করিডরে যাবেন। ইতিমধ্যেই আমরা পঞ্জাব সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় নথিও জমা দিয়েছি।  কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সিধুর না যাওয়ার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমরা গতকাল পঞ্জাব সরকারের কাছে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। আজই ওনার কর্তারপুর সাহিব করিডরে যাওয়ার কথা ছিল। আমরা জানি না কেন পঞ্জাব সরকারের তরফে বলা হল যে তিনি ২০ নভেম্বর কর্তারপুর যেতে পারেন, যেখানে গোটা ক্যাবিনেট আজ যাচ্ছে।”

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “গুরুনানক জয়ন্তী ১৯ নভেম্বর। কী কারণে তাহলে সিধুকে একদিন পরে যেতে বলা হল? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তো কোনও সমস্যা নেই। এ বার এর জবাব একমাত্র পঞ্জাব সরকারই দিতে পারবে। যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে, তবে তা পঞ্জাব সরকারের তরফেই হয়েছে।”

উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বরই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে কর্তারপুর সাহিব করিডর। দীর্ঘ ২০ মাস পর পাকিস্তানের সঙ্গে সংযোগকারী এই করিডর খোলার কথা প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঘোষণা করেছিলেন। গুরুনানকের জন্মজয়ন্তীর ঠিক আগেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে খুশি হয়েছিল গোটা শিখ সম্প্রদায়ই। বর্তমানে পাকিস্তানে অবস্থিত গুরুদ্বার দরবার সাহিব শিখ সম্প্রদায়ের কাছে অত্যন্ত পবিত্র স্থান বলেই মানা হয়। মনে করা হয়, গুরুনানক তাঁর জীবনের শেষ ১৮ বছর এই গুরুদ্বারেই কাটিয়েছিলেন। ১৫৩৯ সালে এখানেই তিনি শেষ নিশ্বাঃস নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন: Delhi Air Pollution: কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠছে ধোঁয়া,ধেয়ে আসছে দিল্লির দিকেই! নাসার উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল ভয়ঙ্কর দৃশ্য!