Haryana: হরিয়ানায় গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত হোমগার্ড-সহ ৪, জারি ১৪৪ ধারা
Haryana Clash: অশান্তির ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে গোটা ঘটনাটিকে 'দুর্ভাগ্যজনক' আখ্যা দিয়ে রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার।
গুরুগ্রাম: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে হরিয়ানার নুহ (Nuh) জেলা। অশান্তির আঁচ ছড়িয়েছে সংলগ্ন গুরুগ্রামেও (Gurugram)। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে ইতিমধ্যে বলি হয়েছে ৪ জন। যার মধ্যে রয়েছেন ২ হোমগার্ড। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ৩০ জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি নামানো হয়েছে আধাসেনা বাহিনী এবং হরিয়ানা পুলিশের STF। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। DGP স্বয়ং এলাকা পরিদর্শন করছেন। অন্যদিকে, উত্তেজনা এড়াতে এবং গুজব ঠেকাতে নুহ জেলায় ইন্টারনেট (Internet) পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবার ঝুঁকি এড়াতে নুহ জেলা সহ গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদে মঙ্গলবার স্কুল, কলেজে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্ষ ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার (CM Manohar Lal Khattar)। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার ব্যাপারে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় গুরুগ্রাম-আলোয়ার জাতীয় সড়কে এক ধর্মীয় শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়। যদিও এই গণ্ডগোলের সূত্রপাত সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে। উত্তেজিত জনতাকে আটকাতে গিয়েই তাদের রোষের মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয় দুই হোমগার্ডের। তারপর দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে থাকে। দুই গোষ্ঠীর সদস্যরাই পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। রাতভর উত্তেজনায় এখনও পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বাস, মোটরবাইক-সহ বহু গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে, রাতেই রণক্ষেত্রের সৃষ্টি হয় নুহ-সহ সংলগ্ন এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাতেই নুহ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে হরিয়ানা সরকার। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুধবার পর্যন্ত নুহ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, কড়া হাতে হিংসা দমন করার নির্দেশ দিয়েছে মনোহর লাল খাট্টারের সরকার।
পুলিশ জানায়, এই সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ২০ জনের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতেই তাদের আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নুহ-সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে এবং আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভুজ। অশান্ত এলাকাগুলিতে হেলিকপ্টারে করে সেনা পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, এই অশান্তির ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে গোটা ঘটনাটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়ে রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “কোনও মূল্যে এই অপরাধ বরদাস্ত করা হবে না এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”