Delhi High Court : বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ ? দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি হাইকোর্ট

Delhi High Court : বিচারপতি রাজীব শাকধের বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার পক্ষে মত দেন। বিচারপতি হরি শঙ্কর তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন না।

Delhi High Court : বৈবাহিক ধর্ষণ কি অপরাধ ? দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি হাইকোর্ট
ভিন্ন মত পোষণ করলেন দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 11, 2022 | 3:53 PM

নয়া দিল্লি : বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে নানা জনের নানা মত। দিল্লি হাইকোর্টও(Delhi High Court) বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ ঘোষণা করা হবে কি না, তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। আজ দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি ভিন্ন মত পোষণ করেন। বিচারপতি রাজীব শাকধের বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার পক্ষে মত দেন। বিচারপতি হরি শঙ্কর তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন না। মামলাটি এবার সুপ্রিম কোর্টে যাবে।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ নম্বর ধারা অর্থাৎ ধর্ষণ আইনে এখনও পর্যন্ত বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ বলে ধরা হয় না। শুধুমাত্র স্ত্রী নাবালিকা হলে তাঁর সঙ্গে যৌন সংসর্গকে ধর্ষণ বলে ধরা হয়। ধর্ষণ আইনের এই ব্যতিক্রমী ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেই ২০১৫ সালে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয় দিল্লি হাইকোর্টে। আবেদনকারীদের দাবি, বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে অপরাধ বলে গণ্য করতে হবে।

সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে আজ বিচারপতি রাজীব শাকধের বলেন, স্ত্রীর অসম্মতিতে তাঁর সঙ্গে জোর করে যৌন সংসর্গ করলেও তাঁকে ধর্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। ভারতীয় দণ্ডবিধির এই ৩৭৫ ধারা অসাংবিধানিক। জোর করে স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সংসর্গ করলে তা ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৯ ২১ নম্বর ধারার পরিপন্থী।

বিচারপতি হরি শঙ্কর এই মতের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি। তিনি বলেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা সংবিধানকে উলঙ্ঘন করছে না। কারণ, স্ত্রীর অসম্মতিতে যৌন সংসর্গ বোধগম্য মতপার্থক্যের মধ্যে পড়ে। দুই বিচারপতি ভিন্ন মত পোষণ করার পর এবার মামলা যাবে সুপ্রিম কোর্টে।

এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রকে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে আরও সময় চেয়ে আবেদন করেছিল কেন্দ্র। যার জবাবে বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন, বিষয়টি দীর্ঘকাল ধরে স্থগিত থাকতে পারে না। কেন্দ্র জানায়, সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। কারণ, যেকোনও সিদ্ধান্ত সমাজ ও পারিবারিক জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই, এর জন্য সময় দরকার।

দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতি ভিন্ন মত পোষণ করলেও চলতি বছরেই কর্ণাটক হাইকোর্ট বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছিল। কর্ণাটক হাইকোর্ট বলেছিল, কোনও স্বামী তাঁর স্ত্রীকে যৌন দাসী করে রাখতে পারে না। স্ত্রীর অসম্মতিতে তাঁর সঙ্গে যৌন সংসর্গ করা ধর্ষণ ছাড়া অন্য কিছু নয়। আইন প্রণেতারা যাতে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে, তারও পরামর্শ দিয়েছিল কর্ণাটক হাইকোর্ট।