চার্জশিটে ‘টাইপো’, বেকসুর খালাস হয়ে যাচ্ছিল ধর্ষক
মা খাবার কিনতে বাড়ির বাইরে যাওয়ায় শিশুকন্যাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেছিল এস প্রকাশ।
চেন্নাই: স্রেফ একটা ইংরাজি অক্ষর ‘এম (M)’-এর গলদ। তাতেই তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu) বেকসুর খালাস হয়ে যাচ্ছিল ধর্ষক। হাইকোর্টের নজরদারিতে সাজা হল। কিন্তু এই সামান্য একটা ভুলের জন্য শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যাচ্ছিল অপরাধি, তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। এফআইআরে উল্লেখ ছিল, ২ বছর বয়সী এক শিশু কন্যার যৌনাঙ্গে ‘সেমেন (Semmen)’ পাওয়া গিয়েছে। তামিল ভাষায় যার অর্থ লাল মাটি। কিন্তু আসলে ওই শিশুর যৌনাঙ্গে ছিল ‘সিমেন (Semen)’, অর্থাৎ বীর্য। এফআইআরের ভিত্তিতে নিম্ন আদালত বেকসুর খালাস করেছিল অভিযুক্তকে।
কিন্তু পরবর্তীকালে একটি আবেদনের ভিত্তিতে মাদ্রাজ হাইকোর্ট দেখে এফআইআরে ‘টাইপো’ হয়েছে। একটি বাড়তি ‘এম’ লেখা হয়ে গিয়েছে। যার ফলে নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে অভিযুক্তকে সাজা দেয় হাইকোর্ট। তিরুভাভুর নিম্ন আদালতের বিচারক ভেবেছিলেন, খেলতে গিয়ে শিশুকন্যার যৌনাঙ্গে লাল মাটি লেগে যায়। তাই অভিযু্ক্ত এস প্রকাশকে বেকসুর খালাস করেন তিনি।
এরপর উচ্চ আদালতে এ বিষয়ে আবেদন জমা পড়ে। তখন বিচারপতি ভালমুরুগান এস প্রকাশকে ৫ বছরের জেল ও ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন। বিচারপতি তদন্তকারী আধিকারিককে ভর্ৎসনা করে বলেন, “সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও কেন পুনর্তদন্ত হল ন? প্রযুক্তিগত ভুলের জন্য অপরাধী শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যাচ্ছিল। তদন্তকারী সংস্থা বা নিম্ন আদালত দুই পক্ষই সঠিক কাজ করতে ব্যর্থ।”
২০১৭ সালে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। মা খাবার কিনতে বাড়ির বাইরে যাওয়ায় শিশুকন্যাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেছিল এস প্রকাশ। মা বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়ের যৌনাঙ্গে সাদা তরল ও সে কাঁদছে। তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যান মা, থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। সেই ঘটনাতেই একটি ভুলের জন্য ছাড়া পেয়ে যাচ্ছিল প্রকাশ। আরও পড়ুন: দাম বাড়ল কোভ্যাক্সিন-কোভিশিল্ডের, কত টাকায় পাবে কেন্দ্র?